ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যুবরাজ হয়েই মাঠ দাপিয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ইংলিশ এই ক্লাব ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন সেই ২০০৯ সালে। তবে দলটির সমর্থকরা এখনো তাকে ভোলেননি। তার প্রমাণ পাওয়া গেছে প্রিমিয়ার লিগে ম্যানইউ’র এক হাজারতম ম্যাচের আগে।
ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে মৌসুমের শেষ খেলাটি ম্যানইউ’র জন্য এই মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচ। এর আগে দর্শকদের ভোটে রোনালদো নির্বাচিত হয়েছেন প্রিমিয়ার লিগে ম্যানইউ’র সেরা খেলোয়ার হিসেবে। তবে এর বেশ সমালোচনাও হচ্ছে।
মাইলফলক স্পর্শকে উপলক্ষ করে শুধু সেরা খেলোয়াড়ই না, ১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়ার পর সেরা গোল, সেরা ম্যাচ এবং সেরা সেভ নির্বাচন করার জন্যও ভোট চেয়েছিল ম্যানইউ। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ওয়েইন রুনির বিখ্যাত বাইসাইকেল কিকটি সেরা গোল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
সিটির বিপক্ষে ২০০৯ সালে তাদের ৪-৩ গোলের জয়ের ম্যাচটিকে সেরা ম্যাচের মর্যাদা দিয়েছেন দর্শকরা। আর ২০১২ সালে চেলসির তৎকালীন মিডফিল্ডার হুয়ান মাতার ফ্রি-কিকটি ঠেকিয়ে দেয়া গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার পারফরম্যান্সটি সেরা সেভের মর্যাদা পেয়েছে।
তবে সেরা খেলোয়াড়ের প্রশ্নে দ্বিমত পোষণ করেছেন অনেক ভক্তই। তাদের ভোটে দুই ম্যানইউ কিংবদন্তি পল স্কোলস ও রায়ান গিগসকে কাটিয়ে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন রোনালদো। তবে অনেকেই মনে করছেন এই দুজন ফুটবলার কিংবা এরিক ক্যান্টোনা তুলনামূলকভাবে বেশি যোগ্য শীর্ষে আসার ক্ষেত্রে।ম্যানইউতে ২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন রোনালদো। সে বছরই সে সময়ের সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফি’র রেকর্ড গড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন এই উইঙ্গার। ম্যানইউতে ৬ বছরে অনেকগুলো শিরোপা জিতেছেন রোনালদো। এর মধ্যে ছিল তিনটি লিগ শিরোপা, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা।
ব্যক্তিগত অর্জনের দিক থেকেও দারুণ অবস্থানে ছিলেন। ২০০৮ সালে একই সাথে ব্যালন ডি’অর এবং ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে সেরা গোলদাতার পুরস্কার ‘গোল্ডেন বুট’ও জিতেছিলেন এই পর্তুগিজ।
এদিকে ম্যানইউ’র বর্তমান কোচ হোসে মরিনহো বলেছেন চাইলেও রোনালদোকে রিয়াল থেকে দলে ভেরানো সম্ভব না। তবে সুযোগ পেলে তা লুফেও নেবেন এই কোচ।