র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং অপহরন, ধর্ষণ ও হত্যাসহ, বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
গত ০৮ অক্টোবর ২০০২ তারিখ সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা জের ধরে অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া ছাত্রী পূর্ণিমা রাণী শীলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কতিপয় আসামি ভিকটিম ও তার মা বাবা ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং ভিকটিম পূর্ণিমা রাণী শীলকে জোর করে ধরে নিয়ে একটি কচু ক্ষেতে ফেলে গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা অনিল চন্দ্র বাদী হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-০৮, তারিখঃ ১০/১০/২০০১, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯(৩)/১০(১)/৩০। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ বিচারক ১১ জন আসামীকে যাবজ্জীবন সাজা এবং প্রত্যেককে ০১ লক্ষ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। র্যাব-১০ উক্ত মামলার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে ।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ৩০ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক দুপুর ১৪:৩০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন চারাবাগ দক্ষিণপাড়া এলাকা একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর পূর্ণিমা রাণী শীল গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ইয়াছিন আলী @ ইয়াছিন (৬০), পিতা-মৃত নিজাম আলী, সাং-পূর্ব দেলুয়া, থানা-উল্লাপাড়া, জেলা-সিরাজগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ইয়াছিন ঢাকার আশুলিয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল বলে জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।