কক্সবাজারে এডি আর্টিলারি গান ফায়ারিং পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। সোমবার (১১ মার্চ) প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে ৩৫ মিলিমিটার টুইন ব্যারেল অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেম সিএস/এএ৩ এর ফায়ারিং করা হয়।পরিদর্শন শেষে সেনাপ্রধান বলেন, প্রথমবারের মতো ১২ কিলোমিটার রেঞ্জ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৫ মিলিমিটার টুইন ব্যারেল অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেমের ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হলো।
যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা।তিনি আরও বলেন, এই গান সিস্টেম ৪ কিলোমিটার দূরত্বে নিখুঁতভাবে স্থল এবং আকাশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় প্রণীত ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল, সেনাবাহিনীর সামরিক সচিব, চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, এডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট; জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়াসহ সেনাসদর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।শনিবার (৯ মার্চ) টাঙ্গাইলের আর্মি মেডিকেল কোরের পঞ্চম কোর পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি মেডিকেল কোর ও ডেন্টাল কোর আর্মড ফোর্সেস নার্সিং সার্ভিসের সদস্যদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।অনুষ্ঠানে আর্মি মেডিকেল কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের প্যারেড গ্রাউন্ডে আর্মি মেডিকেল কোরের একদল চৌকস সেনাসদস্য প্রধান অতিথিকে কোর পুনর্মিলনী কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, মহাপরিচালক সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তর, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার ঘাটাইল এরিয়া, কমান্ড্যান্ট আর্মি মেডিকেল কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, জ্যেষ্ঠ অফিসার ও অন্যান্য অফিসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, অবসরপ্রাপ্ত অফিসার, অসামরিক কর্মকর্তা, শহিদ পরিবারের সদস্য, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।