টল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রুসের সাফল্যের গল্পটা কম-বেশি প্রায়সবারই জানা। ইংরেজদের বিপক্ষে ছয়বার যুদ্ধে হেরেছেন তিনি। কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি। প্রতিবারই কিছু না কিছু শিখেছেন। যেটার ফসল সপ্তম চেষ্টায় ঘরে তুলেছিলেন রবার্ট। বানুকবার্নের যুদ্ধে ইংলিদের…
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনাল যেন ইংল্যান্ডের রবার্ট ব্রুস! বিষয়টা একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ের মনে হলেও আসলে প্রেক্ষাপট কিন্তু প্রায় একই। রবার্ট সাফল্য পেয়েছেন সপ্তম চেষ্টায়। আর আর্সেনালকে একবার বেশি চেষ্টা করতে হলো। অষ্টমবারের চেষ্টায় শেষ ষোলোর বৃত্ত ভেঙে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে উত্তর লন্ডনের ক্লাবটি।
সেটিও অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। প্রথম লেগে পোর্তোর মাঠে গিয়ে ১-০ গোলে হেরেছে আর্সেনাল। মঙ্গলবার রাতে নিজেদের দুর্গে পর্তুগিজ ক্লাবটিকে একই ব্যবধানে হারিয়েছে গানাররা। নির্ধারিত দেড় ঘণ্টার পর সামাষ্টিক ফল দাঁড়ায় ১-১। অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটেও ভাঙেনি সমতা। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকে। সেখানেই বাজিমাত। ৪-২ গোলে জেতে মিকেল আর্তেতার দল।
শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে জিতে দীর্ঘ ১৪ বছর পর টুর্নামেন্টের শেষ আটের টিকিট কাটল আর্সেনাল। এর আগে সাতবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। তন্মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে তিনবার স্বপ্ন জমা দিয়েছে গানাররা। দুবার বার্সেলোনার বিপক্ষে। একবার করে তাদের বিদায় করেছে এসি মিলান ও এএস মোনাকো।
অবশেষে ‘গিট’ খুলল আর্সেনাল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে বিরতির কয়েক মিনিট আগে ম্যাচের একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি করেন লিসান্দ্রো ট্রোসার্ড। চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে এটি তার ১২তম গোল। গোলটির উৎস মার্টিন ওডেগার্ড। এই গোলটার আর শোধ দিতে পারেনি পোর্তো। ওডেগার্ডও গোল করেছিলেন। যদিও গোলটা বাতিল হয়ে যায়।
পেন্ডুলামের মতো দুলকে থাকা ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে পেনাল্টি শ্যুট আউটে। সেখানে গোলপোস্টের নিচে দারুণ পারফর্ম করেছেন আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। তার বীরত্বেই স্নায়ুক্ষয়ী টাইব্রেকারে জয় পেয়েছে আর্সেনাল। স্পট কিক থেকে স্বাগতিকদের গোলগুলো গোল করেন ওটেগার্ড, কাই হাভার্টজ, বুকায়ো সাকা ও ডেকলান রিস।