আব্দুল্লাহ আল নোমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাভার (ঢাকা): ঢাকার আশুলিয়ায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসূতি নামাপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- আশুলিয়ার কলতাসূতি নামাপাড়া এলাকার সোনা মিয়া পরামানিকের ছেলে হাফিজ উদ্দিন পরামানিক (৪০), রেজাউল করিমের ছেলে সজিব (২৫), আব্দুল গফুরের ছেলে মাসুদ (৩২), আব্দুল গফুর (৬০), নবী হোসেন (৩০), ওহেদ আলী মাঝির ছেলে রফিক (৫০), রহিজ উদ্দিন (৫০), তার ছেলে আব্দুস সামাদ (৩০), আমজাদ হোসেন ওরফে গেদুর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০) সহ অন্তত ১০ জন।
এলাকাবাসী জানায়, সকালে একটি পুকুরে মাছ ধরা এবং চুরি করার বিষয়ে স্থানীয় মাদবর মোতালেব পরামানিক ও আব্দুল গফুর জানতে যান আলমগীর ও রহিজ উদ্দিনের কাছে। পরে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জনের মত আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে আলমগীর নামের একজনকে ঢাকা নিউরো সার্জারি এবং সজিব ও মাসুদ নামের দুইজনকে রাজধানীর শিকদার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনায় আশুলিয়া থানায় উভয় পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
https://youtu.be/Sr4yI8BFS08
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করেই মূলত এঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জনের মত আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।