গাইবান্ধায় স্ত্রী চন্দনা রানী প্রতিমার (৩২) বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন স্বামী রবীন্দ্রনাথ কর্মকার (৪২)। অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন বিচারক। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা (সুন্দরগঞ্জ আমলি আদালত) আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ইসলাম এ সমন জারি করেন।
নির্যাতিত স্বামী রবীন্দ্রনাথ কর্মকার জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের মৃত জোগেশ চন্দ্র কর্মকারের ছেলে।
বাদীর আইনজীবী গাইবান্ধা জেলা জজকোর্টের অ্যাডভোকেট আবেদুর রহমান সবুজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৬ সালে সনাতন ধর্মের বিধান অনুযায়ী চন্দনা রানী প্রতিমা ও রবীন্দ্রনাথ কর্মকারের বিবাহ হয়। তাদের দুটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী ও তার পরিবার টাকার দাবিতে চাপ সৃষ্টি করেন। ইতোমধ্যে রবীন্দ্রনাথ তার স্ত্রীকে ১৩ শতক জমি কিনে দিলেও তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে বাড়ির ভিটের আরও ৩৫ শতক জমি বা ৩০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৯ মে বিকেলে তার স্ত্রী এবং শাশুড়ি ঘর থেকে নগদ ২৫ লাখ টাকা, ২২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং মূল্যবান বাসনপত্র নিয়ে নাবালিকা কন্যাদের সঙ্গে চলে যান। বারবার চেষ্টা করেও স্ত্রীকে সংসারে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও তার স্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন- দাবিকৃত টাকা না পেলে তিনি আর সংসার করবেন না। টাকা চাওয়ার কথপোকথনের ভয়েস রেকর্ডও রয়েছে বলে দাবি করেন রবীন্দ্রনাথ।
অ্যাডভোকেট আবেদুর রহমান সবুজ বলেন, এ ঘটনা শুধু একটি পরিবারের নয়; এটি সমাজে পুরুষ নির্যাতনের নির্মম চিত্র। রবীন্দ্রনাথ কর্মকার আইনের আশ্রয় নিয়ে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন। সমাজের সকলের উচিত এই অন্যায় প্রবণতা বন্ধে সচেতন হওয়া।