ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরুর পর উত্তরাঞ্চলে নিজেদের বাড়িতে ফেরার জন্য কথিত নেতজারিম করিডরের কাছে জড়ো হন হাজার হাজার গাজাবাসী।
দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই সময় চুক্তি হয়, যুদ্ধবিরতিটি তিনটি ধাপে কার্যকর হবে। প্রথম ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এরপর কার্যকর হবে দ্বিতীয় ধাপ। আর এ ধাপে গাজায় সব ধরনের সংঘাত বন্ধ হবে এবং দখলদার সেনাদের স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে।
তবে প্রথম ধাপের পরই যুদ্ধবিরতিটি নড়েবড়ে হয়ে যায়। সর্বশেষ গত সোমবার দখলদাররা গাজার ঘুমন্ত মানুষের ওপর বর্বর বোমাবর্ষণ করে। এতে এক রাতেই চারশরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এতে করে প্রায় দুই মাস ব্যাপী চলা যুদ্ধবিরতির ভেস্তে যায়।
লন্ডনের কিংস কলেজের নিরাপত্তা শিক্ষা বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক আন্দ্রেস ক্রেইগ জানিয়েছেন, দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির দুই মাসে গাজায় নজরদারি চালিয়েছে। হামাসের আস্তানাগুলো কোথায় কোথায় অবস্থিত সেসব জায়গা শনাক্ত করেছে। এমনকি তাদের জিম্মিদের হামাস কোথায় রেখেছে সে ব্যাপারেও হয়ত তথ্য জেনেছে। এখন তারা হামাসের নেতাদের হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। যেমনটা গত সোমবার দেখা গেছে। ওইদিন গাজার ডি ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রীসহ হামাসের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি তারা হামাসকে আরও দুর্বল এবং তাদের কিছু নেতাকে হত্যার চেষ্টা করছে। যেটা আমরা গত কয়েকদিন দেখেছি। এর বাইরে তারা গাজার আরও অঞ্চল দখল করতে চাইছে।”
এই অধ্যাপক জানিয়েছেন, আপাতত যা বোঝা যাচ্ছে, ইসরায়েলের লক্ষ্য হলো গাজার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল দখল করা। যেগুলোর দখলদারিত্ব তারা আর কোনোদিন ছাড়বে না। এছাড়া তাদের লক্ষ্য হলো গাজার মানুষকে ছোট জায়গায় আবদ্ধ করে সামনে এগোনো।