1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
ইসলাম মানবতার ধর্ম "দিদারুল ইসলাম" - NEWSTVBANGLA
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
হাজারীবাগে ছিনতাইয়ে জড়িত ৪ জন দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হাওর এলাকায় মাটি ভরাট করে আর কোনো রাস্তা হবে না : শেখ হাসিনা মৃত্যুর আগে চক্ষুদান করে গেলেন আকবর খান রনো ২০২৫ সাল নাগাদ জাতিসংঘ মিশন প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরাক পৃথিবীতে শুক্রবার দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌর ঝড়ের আঘাত যে পরিকল্পনা হোক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী কনস্টেবলের চাকরি দেবে বলে টাকা আদায় পুলিশ বরখাস্ত সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সড়কে মৃত্যুহার কমানো সরকারের উদ্দেশ্যে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আইএসইউ উপাচার্যের শ্রদ্ধা

ইসলাম মানবতার ধর্ম “দিদারুল ইসলাম”

প্রতিনিধি

দিদারুল ইসলাম বলেন ইসলাম মানবতার ধর্ম। মানবতার কল্যাণের জন্যই ইসলামের আগমন। মানব সমাজের সর্বক্ষেত্রে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে মানব সমাজকে কল্যাণকামী সমাজে পরিণত করা হয়েছে। রাস্তা যেন নির্বিঘœ হয়, যাতে মানুষের চলতে শারীরিক বা মানসিক কষ্ট না হয় সে ক্ষেত্রেও ইসলামের সুমহান বাণী উচ্চারিত হয়েছে। রাস্তা দিয়ে চলতে মানুষের বা কোনো জীবের কষ্ট হয় এমন বস্তু সরিয়ে ফেলাকে সাদাকা হিসেবে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত আবুজার রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘তোমার ভাইয়ের সামনে তোমার হাসি তোমার জন্য সাদাকা তোমার সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ সাদাকা, পথভ্রষ্টকে পথ দেখানো তোমার জন্য সাদাকা, দৃষ্টি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দৃষ্টি দান করা তোমার জন্য সাদাকা, তোমার দ্বারা রাস্তা থেকে পাথর, কাঁটা ও হাড় সরিয়ে ফেলা তোমার জন্য সাদাকা এবং তোমার বালতি থেকে তোমার ভাইয়ের বালতিতে পানি প্রবাহিত করা সাদাকা।’ (জামিউত তিরমিজি) রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা ঈমানের অংশ। প্রখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রাহ রা: বর্ণিত এক হাদিসে নবী সা: বলেন, “ঈমানের ৭০-এর বেশি অথবা ৬০-এর বেশি শাখা রয়েছে। তন্মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলোÑ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা এবং সর্বনি¤œ হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা। আর লজ্জা ঈমানের অঙ্গ।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর-১৬২)
পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ, আল্লাহর ক্ষমা লাভ এবং জান্নাতে অনন্ত সুখ লাভের অন্যতম উপায়। হজরত আবু হুরায়রাহ রা: বর্ণিত এক হাদিসে নবী সা: বলেন, ‘আমি জান্নাতে এক ব্যক্তিকে সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে দেখলাম রাস্তা থেকে একটি গাছ কাটার জন্য, যে গাছটি মানুষকে কষ্ট দিত।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর-৬৮৩৭) ওই সাহাবি বর্ণিত অপর এক হাদিসে মহানবী সা: বলেন, ‘একদা এক ব্যক্তি রাস্তায় চলার সময় রাস্তার ওপর একটি কাঁটাযুক্ত বৃক্ষের একটি ডাল ফেলা দেখলো। সে তা সরিয়ে ফেলল। আল্লাহ তার ওপর সন্তুষ্ট হলেন এবং তাকে ক্ষমা করে দিলেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর-৬২৪)
রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস অপসারণ করা শ্রেষ্ঠ আমলের অন্তর্ভুক্ত। স্বনামধন্য সাহাবি হজরত আবুযার রা: থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সা: থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘আমার উম্মতের ভালো ও মন্দ আমলগুলো আমার কাছে পেশ করা হলো। আমি তাদের ভালো আমলের মধ্যে পেলাম, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা। আমি তাদের খারাপ আমলের মধ্যে পেলাম, মসজিদের মধ্যে শ্লেষ্মা বা কফ, যা দাফন করা হয়নি।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর-১২৬১)
এক হাদিসে নবী সা: রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করাকে রাস্তার হক বলে সাব্যস্ত করেছেন। হজরত আবু সাঈদ আল খুদরি রা: (মৃ. ৬৪-৭৪ হি.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সা: থেকে বর্ণনা করেন, তিনি সা: বলেন, ‘তোমরা রাস্তায় বসা থেকে বিরত থাকো’। তারা বললেন, আমাদের গত্যন্তর নেই, রাস্তাগুলো আমাদের সভাস্থল, সেখানে আমরা আলোচনা করে থাকি। তিনি সা: বললেন, ‘যেহেতু তথায় বসা ছাড়া তোমাদের গত্যন্তর নেই বলছ, তাহলে তোমরা রাস্তার হক আদায় করো’। তারা বললেন, রাস্তার হক কী? তিনি সা: বললেন, ‘দৃষ্টি অবনমিত রাখা, কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা, সালামের জবাব দেয়া, সৎ কাজের আদেশ করা এবং অসৎ কাজের নিষেধ করা।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর-২৩৩৩)
রাস্তার ওপর মল ত্যাগ করা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। এ ব্যাপারে নবী সা: থেকে সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রাহ রা: বর্ণিত হাদিসে নবী সা: বলেন, ‘অভিসম্পাত আকর্ষণকারী দুই ব্যক্তিকে তোমরা ভয় করো।’ তারা (সাহাবিরা) বললেন, অভিসম্পাত আকর্ষণকারী দুই ব্যক্তি কারা, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি সা: বললেন, এক. যে ব্যক্তি মানুষের রাস্তায় মল ত্যাগ করে বা দুই. যে ব্যক্তি তাদের ছায়া গ্রহণের জায়গায় মল ত্যাগ করে।’ (সহিহ মুসিলম, হাদিস নম্বর-৬৪১) ছায়া গ্রহণের জায়গা বলতে বুঝাবে প্রচণ্ড গরমের সময় মানুষ যে সব গাছের নিচে বসে। আবার প্রচণ্ড শীতের সময় যে সব স্থানে বসে মানুষ রোদ উপভোগ করে সে সব জায়গাও একই হুকুম আসবে। ওই হাদিসে ‘ফি জিল্লিহিম’ (তাদের ছায়া গ্রহণের জায়গা) ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। সহিহ ইবন হিব্বান নামক হাদিস গ্রন্থে বর্ণিত এক হাদিসে ওই ভাষার পরিবর্তে ‘ফি আফনিয়াতিহিম’ (তাদের বাড়ির সামনের প্রাঙ্গণ) ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। (সহিহ ইবন হিব্বান বিতারতিবি ইবন বালবান, হাদিস নম্বর-১৪১৫)
হজরত মুয়াজ ইবন জাবাল রা: (মৃ. ১৮ হি.) বর্ণিত অপর এক হাদিসে নবী সা: বলেন, ‘তিন স্থানে মল ত্যাগ করা থেকে তোমরা বেঁচে থাকো। ঘাটে, মূল রাস্তায় এবং মানুষের ছায়া গ্রহণের স্থানে।’ (সুনানু আবু দাউদ, হাদিস নম্বর-২৬) অপর এক হাদিসে নবী সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলমানদের চলাচলের কোনো রাস্তায় মল ত্যাগ করল, তার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত, ফেরেশতাদের অভিসম্পাত এবং সব মানুষের অভিসম্পাত।’ (মুহাম্মাদ আমিন, তায়সিরুত তাহরির, তৃতীয় খণ্ড, দারুল ফিকার, তা. বি., পৃষ্ঠা- ৬৫)
যে রাস্তা দিয়ে চলতে মানুষের কষ্ট হয় এমন রাস্তা মানুষের চলাচলের উপযোগী করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। কেননা, মানবোপকার একটি মহৎ কাজ। এ বিষয়ে নবী সা: থেকে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে নবী সা: বলেন, ‘আমি আমার কোনো ভাইয়ের প্রয়োজনে চলব এটা আমার কাছে এ মসজিদে তথা মদিনার মসজিদে এক মাস ইতিকাফ করার চেয়ে প্রিয়’। (আল মুজামুস সাগির, হাদিস নম্বর-৮৬১) উল্লেখ্য, ইতিকাফ একটি কষ্টসাধ্য কাজ। সংসারের মায়াজাল ছিন্ন করে এবং দুনিয়া থেকে নির্লিপ্ত হয়ে মসজিদে গিয়ে ইবাদত ও জিকিরে লিপ্ত হতে হয় এবং সার্বক্ষণিক সেখানে অবস্থান করতে হয়। কাজেই এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। কিন্তু ওই হাদিসে মানবোপকারকে ইতিকাফের চেয়েও উত্তম কাজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট