ভুক্তভোগীর নামে ভুয়া ফেইসবুক আইডি খুলে ও আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে এক প্রতারককে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ ।
আটককৃত ব্যক্তির নাম- মোঃ আবু বকর সিদ্দিক। এসময় তার হেফাজত থেকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ে ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন ও ৩টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
এ সংক্রান্তে গোয়েন্দা- সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল হক পিপিএম বলেন, ঘটনার ভুক্তভোগী জনৈক মুন্না ফেসবুকে দেখতে পান কেউ তার নাম ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলেছে। সেই ফেসবুক আইডিতে মুন্না ও তার স্ত্রীর ছবি দেওয়া। এরপর ঐ আইডিতে মুন্না ও তার স্ত্রীর আপত্তিকর ও ব্যক্তিগত ছবি পর্যায়ক্রমে আপলোড করা হয়। পরে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং শুরু করে। এরপর ভুক্তভোগী বাদী হয়ে শ্যামপুর মডেল থানায় মামলা করেন।
তিনি বলেন, এরপর মামলাটির তদন্ত শুরু করে অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। প্রথমে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এক জন প্রতারককে চিহ্নিত করে তার অবস্থান সনাক্ত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত গত ২৯ মে ২০২৩ রাজধানীর কোতয়ালী থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আবু বকর সিদ্দিকে আটক করে ।
তিনি আরো বলেন, আটককৃত ব্যক্তি সুকৌশলে ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন আপত্তিকর, অশ্লীল ও ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করতো। এরপর ভুক্তভোগীদের ছবি ও নাম ব্যবহার করে ভুয়া ফেইসবুক আইডি খুলে তাদের আত্মীয় স্বজনকে এসব ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করতো।
আটককৃত মুন্নাকে শ্যামপুর মডেল থানায় রুজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এরকম ব্ল্যাকমেইলিং এড়াতে গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরামর্শ :
১. অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও অপরিচিত কাউকে না পাঠানো।
২.অন্য কেউ বিশেষ মূহুর্তের বিষয়টি ক্যামেরাবন্দী করতে চাইলে এড়িয়ে যেতে হবে।
৩.নিজের ডিভাইসে ব্যক্তিগত মূহুর্তের ছবি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।