প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৮টি সরকারি সংস্থার প্রায় ২৫ হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছে তার তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। বরখাস্ত এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফের চাকরিতে বহাল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের রাজধানী বাল্টিমোরের ফেডারেল আদালত এই রায় দিয়েছেন।
রায়ের বিবরণ থেকে জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া এই কর্মীদের একটি বড় অংশ তিনটি মন্ত্রণালয়ের— ট্রেজারি (৭ হাজার ৬০০ জন), কৃষি (৫ হাজার ৭০০) এবং স্বাস্থ্য ও মানবিক পরিষেবা (৩ হাজার ২০০)।
২০২৪ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর থেকেই সরকারি ব্যয় কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়ে আসছিলেন ট্রাম্প। এ লক্ষ্যে বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং টেসলা, স্পেসএক্স এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ককে প্রধান করে একটি ‘সরকারের ব্যয় হ্রাস ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি’ নামে একটি দপ্তরও খোলেন তিনি।
গত ২০ জানুয়ারি শপথগ্রহণের পর সরকারি ব্যয় হ্রাস ও কর্মী ছাঁটাই সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থা থেকে নিয়মিত কর্মী ছাঁটাই চলছে।
মার্কিন ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কর্মী ছাঁটাইয়ের এসব খবর বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে। তবে এতদিনে মোট কতজন কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন— সেই সংখ্যা কোনো সংবাদমাধ্যম দিতে পারেনি। আদালতের বরাতে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো জানা গেল বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের মোট সংখ্যা। এই কর্মীদের মধ্যে স্থায়ী-এবং অস্থায়ী উভয় ধরনের কর্মী রয়েছেন।
বরখাস্ত কর্মীদের ফের চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত রায়টি ঘোষণা করেছেন বাল্টিমোর আদালতের বিচারক জেমস ব্রেডার। রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, “আদালত কর্মী ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে না। কর্মী ছাঁটাই চলতে পারে, তবে তা হতে হবে আইন ও সংবিধান অনুসারে। আদালতের পর্যবেক্ষণ বলছে, বরখাস্ত হওয়া এই ২৫ হাজার কর্মীর বেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ও প্রচলিত আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি।”
কর্মীদের পুনর্বহাল সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন নিয়মিত আদালতে জমা দিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
সূত্র : রয়টার্স