1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
মুক্তিযুদ্ধকালীন ড. কামাল হোসেনের নীরবতায় জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে : মাওলানা রফিকুল ইসলাম - NEWSTVBANGLA
মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

মুক্তিযুদ্ধকালীন ড. কামাল হোসেনের নীরবতায় জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে : মাওলানা রফিকুল ইসলাম

প্রতিনিধি

মুক্তিযুদ্ধকালীন ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষরকারী ড. কামাল হোসেনের নীরবতায় জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনা মীমাংসিত। কারও প্রতি আর কোনো রাগ ক্ষোভ না রাখার এবং সব ভেদাভেদ ভুলে যাওয়ার ওই চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেছে ড. কামাল হোসেন। যিনি এখনো বেঁচে আছেন। তবে তার নীরবতায় জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত ‘মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রফিকুল ইসলাম খান ড. কামাল হোসেনকে ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় চুক্তির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য জাতির সামনে পরিষ্কার করার দাবি জানান।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সোল এজেন্ট দাবি করে তাদের কতজন নেতা মুক্তিযুদ্ধে মারা গেছে? দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতিকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ক্রেডিট ছাত্রদের দিতে হবে। যারা এই ক্রেডিট নিজেদের দলের দাবি করে, তারা আওয়ামী লীগের মতই ফ্যাসিস্ট। আওয়ামী লীগ ১৯৭১ হাইজ্যাক করেছে এরা ২০২৪ হাইজ্যাক করতে চায়।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ফ্যাসিস্টের বিদায়ের পর বাংলাদেশ বড় দল দুটি। একটি বিএনপি অপরটি জামায়াতে ইসলামী। জনগণ যদি বিএনপিকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেয় জামায়াতে ইসলামীর কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু জনগণ যদি জামায়াতকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেয় তাহলে মৌলবাদ বলে গালি দেওয়ার কারণ কি?- তাহলে কি জনগণকে বিশ্বাস করতে পারেন না?-

তিনি কাঁদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি পরিহার করে গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা ও জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে দলটির আরেক সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ছিল বাকশাল কায়েমের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। কারণ বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতা লুণ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ আমাদের গর্বের। কিন্তু কেউ কেউ ১৯৭১ কে পুঁজি হিসেবে গ্রহণ করে ১৯৪৭, ৫২, ৬৯, ২০২৪ সহ সব আন্দোলন সংগ্রাম স্বীকার করছে না। এটি কাম্য নয়। সব আন্দোলন সংগ্রামকে স্বীকার ও বিশ্বাস করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২৪-এর শহীদদের রক্তের কারণেই রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের স্বপ্ন দেখতে পারছে। কিন্তু যাদের রক্তের বিনিময়ে কথা বলার, সংগঠন করার স্বাধীনতা আসছে তাদের হত্যার বিচার না করে, শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের প্রত্যাশিত সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা অর্জিত হবে না। বরং শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। তাই তিনি গণহত্যার বিচার ও সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, স্বাধীন দেশে বিগত ৫৪ বছরে দেখা গেছে কখনও বাকশাল, কখনও সামরিক শাসন আবার কখনো ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা। এই কারণেই ২০২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে।

জনগণ রিফাইন আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একতরফা যেই ৩টি সংসদ নির্বাচন করেছে সেই নির্বাচনের সময় ভারত যেই ভূমিকা রেখেছে আগামীতেও ভারত সেই ভূমিকা রাখবে বলে বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের নির্বাচন আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত নাক গলালে এ দেশের জনগণ সেটি সহ্য করবে না।

জামায়াতে কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন এবং অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান।

এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. শামছুর রহমান, কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা ফরিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, কামরুল আহসান হাসান, শাহীন আহমেদ খান, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সহকারী সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমনসহ মহানগরীর নেতারা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট