প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে যাওয়ার কিছুদিন পরই এসিএল ইনজুরিতে পড়েছিলেন নেইমার জুনিয়র। ব্রাজিলিয়ান তারকা তাদের হয়ে সবমিলিয়ে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান। অবশ্য তাকে ছাড়াই সৌদি লিগসহ তিনটি শিরোপা জিতেছে রিয়াদের ক্লাবটি। তিনি যখন আল হিলালে ইনজুরির পুনর্বাসন করছেন, এরই মাঝে তার দলবদলের গুঞ্জন ছড়ায়। সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন নেইমার।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও করিম বেনজেমার পর সৌদি লিগে যাওয়া সবচেয়ে বড় তারকা এই ব্রাজিলিয়ান। যদিও ইউরোপীয় ক্লাব মাতানোর মতো বয়স বাকি থাকতেই তার সৌদিতে যাওয়া নিয়ে কম আলোচনা–সমালোচনা হয়নি। কিন্তু সেভাবে ক্লাবটি পায়নি নেইমারকে। এর মাঝে ছড়িয়ে পড়ে তিনি যোগ দিতে পারেন শৈশবের ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস কিংবা লিওনেল মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। যাকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি ফরোয়ার্ড।
খবর বেরিয়েছিল অনেক লোভনীয় অঙ্কে মায়ামিতে পুনর্মিলন হতে পারে মেসি–নেইমারের। যেখানে আগে থেকেই তাদের আরও কয়েকজন সতীর্থ খেলছেন। এ ছাড়া সান্তোসে ফিরে যাওয়া নিয়ে নিজেও ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন নেইমার। যাকে মানুষ দুইয়ে দুইয়ে মিলিয়ে চারে পরিণত করে ফেলেন। এ নিয়ে ইএসপিএনকে নেইমার বলেন, ‘যা বলা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, এমন কোনো পরিকল্পনাই করা হয়নি। এখনও আল হিলালের সঙ্গে আমার এক বছরের চুক্তি রয়েছে এবং আমি আশা করছি এখানে দুর্দান্ত একটা
‘এটি সত্যি যে সান্তোস আমার প্রিয় দল এবং আমি একদিন সেখানে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছাপোষণ করি। কিন্তু এখনও আমার কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। এখন আমার মূল মনোযোগ আল হিলালে’, আরও যোগ করেন এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। নেইমার পুনর্বাসনের কাজও করছেন আল হিলালের ক্যাম্পে থেকে। সাম্প্রতি সময়ে ক্লাবটি শিরোপা জয়ের মঞ্চেও তাকে সতীর্থদের সঙ্গে মিলে উদযাপন করতে দেখা যায়। প্রথম মৌসুমের প্রায় পুরোটা মাঠের বাইরে কেটে গেলেও, পরের মৌসুমটা তিনি দলটির জার্সিতে রাঙাতে চান।