মূলত নিয়মিত পেসার শরিফুল ইসলামের ইনজুরিতে সুযোগ মেলে সাকিবের। আর সুযোগ পেয়েই শতভাগ কাজে লাগিয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে সাকিব শিকার করেছেন ৯ উইকেট। যা টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পর ভক্ত-সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন সাকিব। তবে আড়ালে থেকে যাচ্ছে নির্বাচকদের ভূমিকা।
বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে সাইফউদ্দিনকে বাদ দেওয়ায় কম সমালোচনা হয়নি। এমনকি বিসিবির নির্বাচকদের মুন্ডুপাতও করেছিলেন অনেকে। তারা প্রশ্ন তোলেন দল নির্বাচন নিয়ে। তবে দিনশেষে নির্বাচকরাই যে সঠিক ছিলেন সেটাই আবার প্রমাণিত। গাজী আশরাফ হোসেন লিপু নেতৃত্বাধীন হান্নান সরকার এবং আব্দুর রাজ্জাকদের এই নির্বাচক প্যানেলকে এমন সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয়।
এর আগে তানজিম সাকিবকে দলে নেওয়া নিয়ে লিপু বলেছিলেন, ‘দুটো রাস্তা ছিল আমাদের সামনে– প্রথমত দলে থাকা ফিট ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে নির্বাচন, দ্বিতীয়ত বাকিদেরও পরখ করে দেখা। আমরা চোট থেকে ফেরা সাইফউদ্দিনের পারফরম্যান্স দেখতে চেয়েছিলাম, তার ওপর অবশ্যই আমাদের আস্থা ছিল। তবে এই (জিম্বাবুয়ে) সিরিজে আমাদের আস্থার জায়গায় কিছুটা এগিয়ে তানজিম সাকিব। সে কারণে সাইফউদ্দিনকে রাখা হয়নি।’
লিপু আরও জানিয়েছিলেন, ‘তানজিম সাকিবকে শ্রীলঙ্কা সিরিজেও আমরা দেখেছি। তার একাগ্রতা, মাঠে দেয়ার চেষ্টা সেটা সাইফউদ্দিনের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রেখেছে। আমরা যে কারণে সাইফউদ্দিনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম যে ডেথ ওভারে ইয়র্কার করা, সেটা কম পরিলক্ষিত হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন ছিল তার চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু তফাৎ হয়েছে। তাই আমরা একটু ভিন্ন চিন্তা করেছি। না হলে তিনি আমাদের ভাবনায় ছিলেন। ৩০ তারিখে যে দলটা দিয়েছিলাম সেখান থেকে একমাত্র এ জায়গাটাতেই পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের আসলে সাইফউদ্দিন ও সাকিবের মধ্যেই লড়াই চলছিল।’