যশোরের ঝিকরগাছায় গাদখালি ফুল মোড়ে ঘুরতে আসা এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের চার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
রোববার (১৬ মার্চ) সাড়ে ৮টায় এ ঘটনায় খবর পেয়ে রাতেই অভিযুক্ত ছাত্রদলের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ। আটক আসামিরা গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
আটককৃতরা হলেন—গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, জাকির হোসেনের ছেলে ছাত্রদলের কর্মী জাবের হোসেন ও আমিরুল ইসলাম।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান বলেন, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ঝিকরগাছা থানার ডিউটি অফিসারের কাছে সাহায্যের জন্য আকুতি জানান এক তরুণী। তাৎক্ষণিক তিনি তার ফোর্সসহ গদখালীর পটুয়াপাড়ায় ধর্ষণকারী জাবেরের লিচুবাগানে গিয়ে উপস্থিত হন। সেখান থেকে ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, জাকির হোসেনের ছেলে ছাত্রদলের কর্মী জাবের হোসেন ও আমিরুল ইসলামকে আটক করা হয়।
ওসি আরও বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি মনিরামপুর উপজেলায়। বেনাপোলে খালার বেড়াতে গিয়েছিলেন। রোববার বিকেলে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে গদখালী ফুল মোড়ে ঘুরতে যান। সেখানে অভিযুক্ত চার যুবক তাকে একা পেয়ে গতিরোধ করেন। আশপাশে কেউ না থাকায় তারা তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশের একটি লিচুবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। অভিযুক্তরা চলে যাওয়ার পর পুলিশে ফোন করেন ভুক্তভোগী।
রোববার রাত সাড়ে ৮টায় ধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়েই থানায় যান সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক যুবকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম রানা বলেন, কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে কোনো অপরাধীর ঠাঁই নাই। তিন অভিযুক্তদের ইতোমধ্যে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।