মঙ্গলবার রাত থেকে গাজাজুড়ে যে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, তাতে এ পর্যন্ত ২ শতাধিক নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। এ হামলার পরিকল্পনা বেশ আগেই করা হয়েছিল বলে সিএনএনকে জানিয়েছেন ইসরায়েলের এক সেনা কর্মকর্তা।
সিএনএনকে ওই কর্মকর্তা বলেন, “এবারের লক্ষ্যবস্তু হলো হামাসের মাঝারি পর্যায়ের কমান্ডার, নেতৃত্বে থাকা লোকজন এবং তাদের অবশিষ্ট স্থাপনাগুলো। যতদিন প্রয়োজন হয়, ততদিন এই হমলা চলবে এবং শুধু বিমান অভিযানেই এটি সীমাবদ্ধ থাকবে না। আপাতত এর চেয়ে বেশি আর কিছু আমরা বলতে পারছি না।”
ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে অভিযানের শুরু থেকে এর সার্বিক গতিবিধি লক্ষ্য করছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী শিন বেটের প্রধান। উভয়েই অবস্থান করছেন তেল আবিবে অবস্থিত সামরিক বাহিনীর হেডকোয়ার্টারে।
সেনাবাহিনীর অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মতদ্বৈততার জেরেই এ হামলা চালানো হয়েছে।
যে চুক্তির ভিত্তিতে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল গাজায়, সেটি তিনটি স্তর বা পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম স্তরে হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মি ও ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে থাকা বন্দি বিনিময়ের পাশাপাশি গাজায় খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ স্বাভাবিক করার শর্ত ছিল। দ্বিতীয় স্তরের শর্ত ছিল যে গাজা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করে নেবে ইসরায়েল।
চুক্তির নথি অনুযায়ী, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশের আলোচনা শুরু করার কথা ছিল হামাস, ইসরায়েল ও মধ্যস্ততাকারীদের মধ্যে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশের জন্য আগ্রহী ছিল হামাস, কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে একেবারেই সম্মত ছিল না ইসরায়েল।
এই নিয়ে দুই পক্ষের চলমান অচলাবস্থার মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে গাজায় ফের বিমান হামলা শুরু করল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।