বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা মামলাটি দায়ের করেছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আসামিরা হলেন- কুমিল্লার গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম মনজুর আলম ও তার স্ত্রী মিসেস নার্গিস আক্তার।
মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ২৫ লাখ ১৩ হাজার ৬১৬ টাকার জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মিসেস নার্গিস আক্তার বর্তমানে তার স্বামী-সন্তানসহ আমেরিকায় বসবাস করছেন। মিসেস নার্গিস আক্তার একজন পৃথক আয়করদাতা।
আয়কর নথিতে তিনি মৎস্য এবং হস্ত ও কুটির শিল্পের ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন। সূত্র জানায়, অনুসন্ধানে নার্গিস আক্তারের নিজ নামে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু নার্গিস আক্তারের আয়কর নথিসহ অন্যান্য রেকর্ডপত্রে ৬২ লাখ ৫২ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদের পক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়।
অর্থাৎ তার বিরুদ্ধে ২৫ লাখ ১৩ হাজার ৬১৬ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে। যা মূলত তার স্বামীর অবৈধ আয় থেকে অর্জিত বলে মনে করে দুদক। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।