ঢাকায় বড় হলেও মুস্তাকিম হাওলাদারের পৈত্রিক ভিটা বরিশালে। বর্তমানে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন ঢাকায়। নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের এই শিক্ষার্থী দেশের স্বীকৃত ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস গড়েছেন। প্রথম কোনো ব্যাটার হিসেবে খেলেছেন ৪০০ রানের ইনিংস। যদিও ইতিহাসগড়া মুস্তাকিম ফোন ব্যবহার করেন না, ফলে অনুভূতি জানালেন বাবার ফোন থেকেই।
রেকর্ড গড়ার প্রতিক্রিয়ায় এই শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো লাগছে। নিজের প্রতি অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছে…আমি ২০০ রান করার পর ভাবছিলাম রানটা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়। নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল (ইনিংস) বড় করা যাবে আরকি। বাকিটা আল্লাহ পূরণ করেছেন।’
মুস্তাকিম ওপেনার হলেও বল হাতেও সামর্থ্য দেখাতে সক্ষম। ক্রিকেটেও নিজের আদর্শ মানেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে, ‘আইডল বলতে সাকিব আল হাসান ভাই। আমি ওপেনিংয়ের পাশাপাশি লেগ স্পিন বল করি।’ সাকিবের সঙ্গে একবার দেখাও হয়েছে মুস্তাকিমের, ‘যখন বিকেএসপিতে ট্রায়াল দিতে গিয়েছিলাম তখন সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল আমার। সাকিব ভাই মাঠে অনেক এফোর্ট দেয়, যা দেখতে খুব ভালো লাগে। আমি সেটা নেওয়ার চেষ্টা করি সব সময়।’
এদিন মুস্তাকিম খেলেছেন ১৭০ বল। বিনিময়ে ৫০ চার ও ২২টি ছক্কায় তিনি ৪০৪ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। যা দেশের যেকোনো পর্যায়ের ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ও প্রথম ৪০০ রানের ইনিংস। মুস্তাকিম নিজের লক্ষ্য জানিয়ে বলেন, ‘একটাই লক্ষ্য থাকবে, তা হচ্ছে জাতীয় দলের হয়ে খেলা। তবে এই মুহূর্তে লক্ষ্য অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলা। লাল-সবুজের জার্সিতে খেলার ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে।’
নিজের ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে বাবা-মায়ের অবদানকে বড় করে দেখছেন মুস্তাকিম, ‘আমার বাবা-মায়ের সমর্থন ছিল অনেক। তারাই সবচেয়ে বেশি পাশে থেকেছেন, মানে কোচ হিসেবে যা করার সবকিছু তারাই করেছে। আজ এখানে এসেছি তাদের কারণে। যখন লকডাউন ছিল, তখন আব্বুর সঙ্গে প্র্যাকটিস করতাম, ইনডোর ছিল সেখানে। এ ছাড়া ঢাকা রাইডার্সের হয়ে অনুশীলন করি আমি।’