1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
সংস্কারহীন নির্বাচন দিলে দেশে আবারো ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে পারে: আমির নূরুল - NEWSTVBANGLA
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সাভারে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে মানবাধিকার সংস্থার ইফতার মাহফিল সাভারে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে মানবাধিকার সংস্থার ইফতার মাহফিল স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার সাভারে পবিত্র কোরআন বিতরণ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মানে শিবিরের ইফতার মাহফিল হিন্দুদের ওপর হামলা ধর্মীয় নয় রাজনৈতিক গুতেরেসের সফর রোহিঙ্গা ইস্যু-সংস্কার এজেন্ডা আরও শক্তিশালী করেছে সাভারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা ২ লাখ রোগের ধরনে মানুষ ও প্রাণীকে আলাদা করা যাচ্ছে না : উপদেষ্টা ‘৪০৪’ রান করা মুস্তাকিমের আদর্শ সাকিব বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতি শেয়ার করল ফ্রান্স দূতাবাস

সংস্কারহীন নির্বাচন দিলে দেশে আবারো ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে পারে: আমির নূরুল

প্রতিনিধি

সংস্কারবিহীন নির্বাচন দিলে দেশে আবারো ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার আগেই বলে আমরা কারো কোনো সংস্কার মানবো না, ক্ষমতায় গিয়ে আমরা সংস্কার করবো! তারা আওয়ামী লীগের চেয়ে ভয়ংকর হবে। তারা মূলত ফ্যাসিবাদ কায়েমের পথে হাঁটছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঐতিহাসিক বদর দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারগুলো যারা করতে না দিয়ে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন চায়, তাদের উদ্দেশ্য জনগণ বুঝে গেছে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, তারা বরাবরই জনগণের বিপক্ষে। জনগণ চায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি দেশের ১৮ কোটি জনগণের এখনো সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের নৈতিক দায়িত্ব জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করা। কারো চাপের মুখে জনগণের প্রত্যাশা বাহিরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জনগণ সেটি মেনে নেবে না। তাই সরকারকে জনগণের পক্ষে থাকার আহ্বান জানাই।

জামায়াতকে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহৎ ইসলামী দল উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, এতো জুলুম-নির্যাতন, রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ করেও জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করা যায়নি, এটাই তার দৃষ্টান্ত।

আজকেও যারা জামায়াতকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এক আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করে না, করবেও না। কোনো অপশক্তির কাছে জামায়াতে ইসলামী মাথানত করে না। যারা শাহাদাতের তামান্না লালন করে তাদের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। বরং ষড়যন্ত্রকারীদেরই নিঃশেষ হতে দেখা গেছে।

ছাত্রশিবিরের সাবেক এ কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, বদর যুদ্ধের যেই ঐতিহাসিক ঘটনা তা আমাদের জন্য শিক্ষণীয় এবং করণীয়। বদর যুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল মুসলমানদের সম্পদ লুটপাট করে নেওয়া এবং মুসলমানদের মদিনা থেকে মক্কায় হিজরত করতে বাধ্য করা, এজন্যই বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। বদর যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর যোদ্ধা ছিলেন ৩১৩ এবং কুরাইশ বাহিনীর যোদ্ধা ছিল ১০০০ জন। যুদ্ধের যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র কুরাইশদের ছিল। মুসলিম বাহিনীর কাছে তেমন কোনো অস্ত্রশস্ত্র ছিল না। যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় হয়। এই যুদ্ধে আল্লাহ নিজে সরাসরি ফেরেশতা দিয়ে মুসলমানদের সহযোগিতা করেছেন।

বুলবুল বলেন, সত্য প্রতিষ্ঠার যে কোনো আন্দোলনে সাহায্য করা আল্লাহ দায়িত্ব হয়ে যায়। যার বাস্তব চিত্র জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের জনগণ দেখেছে। আগামীতেও যে কোনো সত্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যাবে। সেজন্যই জামায়াত সত্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বরাবরই নেতৃত্ব দিয়ে থাকে।

সভায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, রমজান হচ্ছে ইমানদারদের প্রশিক্ষণের মাস। বদর যুদ্ধের মাধ্যমে মুসলমানদের পরীক্ষা হয়েছে তারা কী কুরআন শুধু পাঠ করে এবং বুঝে নাকি কুরআনের বিজয়ও নিশ্চিত করতে পারে। কদরের পিছনে মুসলমানরা যেভাবে ছুটছে, বদরের পিছনেও ছুটতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতা যে পরিবেশ তৈরি করেছে, এই পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে কুরআনের বিধানে সংস্কার করতে হবে। যারা নিজেদের বড় দল বলে জামায়াতকে ছোট করতে চায় তাদের বলবো, এই ছোট দলগুলোই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মাঠে ছিল। আপনারা কোথায় ছিলেন?

নতুন করে আওয়ামী লীগের কণ্ঠে সুর মিলিয়ে কেউ কেউ এখন আবার জঙ্গি নাটক সাজাতে চেষ্টা করছে। জঙ্গির তকমা এদেশের জনগণ আর মেনে নেবে না। ভবিষ্যতে যদি কেউ আবার ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করে তাদেরকেও আবু জাহেলর মতো নিঃশেষ করে দেবে।

ফ্যাসিস্ট খুনি আওয়ামী লীগের মতই আজও কেউ কেউ সরকারের ভেতরে থেকে, বাহিরে থেকে জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর দায়িত্ব পালন করছে। জনগণ কোনো অপপ্রচার আর মেনে নেবে না। জনগণ বিশ্বাস করে জামায়াতে ইসলামী একটি মানবিক, কল্যাণ ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে।

সভায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আবদুস সালাম, কামরুল আহসান হাসান, শাহীন আহমেদ খান বক্তব্য দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট