দুই দিন ধরে সীমান্তে সংঘাত চলার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া এবং লেবানন। সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা সানার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন নিহত ও ৫০ জনের বেশি আহত হওয়ার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো সিরিয়া-লেবানন। আহতরা অবশ্য সবাই লেবাননের নাগরিক।
রোববার এক বিবৃতিতে সিরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বৃহস্পতিবার সিরিয়ার সীমান্তে ঢুকে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা করে এবং তিন জন সেনাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর পরের দিন কাসার শহরে ওই তিন সিরীয় সেনাকে হত্যা করে হিজবুল্লাহ।
এ ঘটনার পরই সীমান্তবর্তী লেবানিজ গ্রাম ও কাসার শহর লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ শুরু করে সিরিয়া। এতে নিহত হন ৭ জন এবং আহত হন আরও ৫২ জন লেবানিজ।
লেবাননের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, মোট ৬ জন সিরীয় সেনা অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩ জন নিহত হয়েছেন এবং বাকি ৩ জনকে সিরীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হিজবুল্লাহ অবশ্য এ ঘটনায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। গোষ্ঠীটির একজন মুখপাত্র লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ব বার্তাসংস্থা এনএনকে বলেছেন, “সিরিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা, অপহরণ— এসবের সঙ্গে হিজবুল্লাহর কোনো সম্পর্ক নেই।”
তবে রোববার লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সীমান্ত এলাকায় সংঘাত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটা দিনের পর দিন চলতে পারে না।”
তার পরের দিন সোমবারই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় সিরিয়া ও লেবানন।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা বেশ বিরল। এর আগে নিকট বা দূর অতীতে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের রেকর্ড নেই।