1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
১৫ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন - NEWSTVBANGLA
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন

১৫ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন

প্রতিনিধি

দেশের সকল শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন। ফলে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের নিকটস্থ স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্র থেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বার্তায় বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। শুধু দেশেই নয়, বিশ্ব নেতৃত্বের পুষ্টি ফোরাম স্কেলিং আপ নিউট্রিশনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে আসছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টি জনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ৪.১০ শতাংশ ছিল। ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। পরবর্তীতে এ ভিটামিন খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।

বার্তায় আরও বলা হয়, ভিটামিন ‘এ’ শুধুমাত্র অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে না। পাশাপাশি ৫ বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর হারও প্রায় এক চতুর্থাংশ কমিয়ে আনে। আমাদের সব শিশু সঠিকভাবে মায়ের দুধ কিংবা সঠিক মাত্রায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারে না। ফলে অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সের শিশুদের বিরাট অংশ এই ভিটামিনের ঘাটতিতে ভোগে এবং এর অভাবজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে এই ঘাটতি পূরণে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো প্রয়োজন। ইতোমধ্যে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে ২ বার শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুদের ভিটামিন এ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন এ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে কমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। কিন্তু তাদের একটি অংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। অন্ধত্ব একটি পরিবারের জন্য অভিশাপ। বছরে ২ বার ভিটামিন এ ক্যাপসুল গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের এ অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে বহুলাংশে মুক্ত করা যায় এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিও কমানো সম্ভব। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের সব শিশুর অপুষ্টি দূরীকরণ ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে এবার ১৫ মার্চ সারাদেশে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২৬ লক্ষ শিশুকে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।

যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু আছে, সেই সব মা-বাবা এবং অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে (ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র) নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট