1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
রোগ নিরাময়ে কার্যকর ভেষজ ঔষধি বেত গাছ - NEWSTVBANGLA
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঢাকায় রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে জুলাই বিপ্লব নতুনভাবে দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা যাবে না : চসিক মেয়র ‘হঠাৎ বিকট শব্দ, দৌড়ে গিয়ে দেখি বাড়ির ভেতরে আগুন আর কান্নাকাটি’ পরিবেশ দূষণমুক্ত চাইলে দূষণকারী শিল্পকারখানা বন্ধ করার আহ্বান না ফেরার দেশে নয়া দিগন্তের সাবেক সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন মাহিন সরকারের বিরুদ্ধে ৭.৫ কোটি টাকার ভুয়া গল্প, আসলেই কি ঘটেছে বেলকুচিতে রাতের মধ্যে যেসব এলাকায় ঝড় হতে পারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা মামায় জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ললিপপ জনি কেরানীগঞ্জে এসি বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন হাসপাতালে

রোগ নিরাময়ে কার্যকর ভেষজ ঔষধি বেত গাছ

প্রতিনিধি

বেতফল এক প্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদ। অতি মূল্যবান, ভেষজ ও অর্থকরী উদ্ভিদ বেত গাছ। বেত গাছের ফলকে বেতফল, বেত্তুন, বেথুন, বেথুল, বেতগুলা, বেতগুটি, বেত্তুইন ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। বেত গাছের আদি আবাস হিমালয়ের উষ্ণ এলাকা, বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার। এছাড়া বেতগাছ ভুটান, কম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, জাভা ও সুমাত্রা অঞ্চলেও জন্মে।

বেতফল যেমন পুষ্টিকর তেমন সুস্বাদু ও ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ। মূলত মাটির অবস্থা ভেদে এই ফল খুব মিষ্টি হয়। আবার স্থান ভেদে একটু টকও হয়। বেতফল মরিচ দিয়ে চাটনি করে খেতে খুব মজাদার। বাংলা মাসের চৈত্র, বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে বেতফল পাকে।

বাংলাদেশে গ্রামগঞ্জে বেত গাছ দেখা যায়। বেত কাঁটাময়, চিরসবুজ, অরোহী পাম। কাণ্ড লম্বা, কাঁটাযুক্ত ও শাখাহীন। সরু ও নলাকার কাণ্ড প্রস্থে সাধারণত ৫-১৫ মিলিমিটার। প্রতিটি কাণ্ডের আগা থেকে নতুন পাতা বের হয় ও বেড়ে ওঠে। কাণ্ড বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর নিচের অংশ পোক্ত হতে থাকে। কোনো ধারককে ধরে রাখার জন্য কাঁটাযুক্ত ধারক লতা বের হয়। বেতে ফুল ধরার আগে গাছ থেকে একধরনের মিষ্টি ঘ্রাণ আসে। তখন মৌমাছি, পিঁপড়া, মাছি আসে সেই রস খেয়ে মাতাল হওয়ার জন্য।

বেত শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন কুটির শিল্প৷ এক যুগ আগেই বেতের অনেক প্রচলন ছিল৷ বর্তমানে প্লাস্টিকের ব্যবহারের কারণে বেতের ব্যবহার খুব কমে গেছে৷ তারপরও গ্রাম-গঞ্জে অনেকেই এখনো বেতের তৈরি আসবাবপত্র ব্যবহার করে থাকে৷ উন্নতমানের হ্যান্ডিক্রাফট, গৃহের আসবাবপত্র তৈরির জন্য বেতের ব্যবহার বেশি।

বেতফল ও মূল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দেশে ছয় প্রজাতির বেতফল পাওয়া যায়। একটি থোকায় ২০০টি পর্যন্ত ফল ধরে। ফলের খোসা পাতলা ডিমের খোসার মতো। পাকা ফলের শাঁস নরম, খেতে টক-মিষ্টি। কস স্বাদযুক্ত ফল গ্রামীণ শিশুদের অতি প্রিয়। এ ফল বাজারে বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেতের কচি কাণ্ড তরকারি হিসেবেও খাওয়া হয়।

বেতফলের মধ্যে প্রোটিন, পটাসিয়াম এবং পেকটিন থাকে। পাশাপাশি থায়ামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি জাতীয় পুষ্টি থাকে বেতের ফলগুলোতে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং ট্যানিন জাতীয় যৌগগুলোও বেশি থাকে। যা অ্যালার্জি ও প্রদাহ প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে। এছাড়া আরো অনেক রোগের মুক্তি মেলে এই গাছে।

আমাশয় রোগে উপকারী

আমাশয় রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যাদের পুরনো আমাশয় আছে তারা এই বেত গাছের শাঁস নিয়মিত খেতে পারেন। এতে করে চিরতরে আমাশয় সেরে যাবে।

শুক্রাণু বৃদ্ধি ঘটায়

যাদের শুক্রাণু পাতলা তারা বেত গাছের মূল চূর্ণ্ করে ঘিয়ে ভেজে নিয়ে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে খেতে পারলে শুক্রাণু বৃদ্ধি অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

দাঁতের গোড়া শক্ত করতে

বেত গাছের মূলের রয়েছে অসাধারণ সব উপকারিতা। প্রথমে বেত গাছের মূল সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর এই সিদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।

পিত্তথলির সমস্যা দূর করে

বেত ফলের রস চিনির সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে পিত্তথলির যাবতীয় সমস্যা সেরে যায়।

যাবতীয় রোগ নিরাময়ে

বেত গাছের মূলের ক্বাথ সেবন করলে মূত্র সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ নিরাময় হয়। আয়ুর্বেদ বহু প্রাচীনকাল থেকে ঘাম প্ররোচিত করতে এবং রিউম্যাটয়েড বাত এবং স্ট্রোকের চিকিৎসার জন্য ক্যালামাসকে একটি শান্ত ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। কিছু লোক তামাকের গন্ধ দূর করতে, উত্তেজক হিসাবে, নিজের মঙ্গলভাব বোধ বাড়ানোর জন্য এবং হ্যালুসিনোজেন হিসাবে চিবিয়ে খায়।

যুগের পরিবর্তন ও কাল বিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমানে আমাদের দেশীয় নিজস্ব গাছ নিয়ে তেমন গবেষণা হয় না। বরং বিদেশী গাছ-ফল নিয়ে সবাই মাতোয়ারা। যার ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে বেত গাছের মত বিভিন্ন ভেষজ ঔষধি গাছ। তথ্য সূত্র: ঢাকা টাইমস।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট