মঙ্গলবার জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে লেবাননে হিজবুল্লাহ্ বিরদ্ধে ইসরায়েল বড়ধরনের অভিযান চালানো শুরু করার পর লেবাননে এক বছর ধরে চলা এই অভিযান সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নিয়েছে।ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এন্ডার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুই মাসেরও কম সময়ে লেবাননে দুইশ’র বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতোগুলো শিশুর প্রাণ যাওয়ার পরও যারা সহিংসতা বন্ধে সক্ষম, তারা কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কে বা কারা দায়ি সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি মুখপাত্র। বলেন, ‘যারা গণমাধ্যমে খোঁজ খবর রাখেন তাদের কারোরই বিষয়টি অজানা নয়’।
জেমস আরও বলেন, লেবানন ও গাজার সংঘাতের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিল রয়েছে। সেখানেও ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাসের যুদ্ধে ৪৩ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘের দেয়া তথ্যানুযায়ী নিহত শিশুর সংখ্যা ১৬ হাজারেরও বেশি।
এদিকে, যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাস্তুচ্যুত লক্ষাধিক শিশুকে ইউনিসেফ মনস্তাত্বিক সহায়তাসহ চিকিৎসা সেবা, খাদ্য এবং ঘুমের ওষুধ সরবরাহ করছে বলে জানিয়েছেনে ইউনিসেফ মুখপাত্র। তিনি অভিযোগ করেছেন, গাজার ক্ষেত্রে যেমনটি হয়েছে, ঠিক লেবাননের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।