1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
মুক্তিযুদ্ধ ও গণঅভ্যুত্থান এক নয় : ডা. শাহাদাত - NEWSTVBANGLA
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন

মুক্তিযুদ্ধ ও গণঅভ্যুত্থান এক নয় : ডা. শাহাদাত

প্রতিনিধি

১৯১৭ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪ -এর গণঅভ্যুত্থান এক নয়। এই দু্টই ঘটনায় মৌলিক পার্থক্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে শহীদদের স্মরণে বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ জাকির হোসেন রোড পাহাড়তলীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো সহজ অর্জন ছিল না। ১৯৭১ সালে একটি নতুন দেশের জন্ম হয়েছিল মুক্তিকামী জনগণের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। আর ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল একটি স্বৈরাচারী সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন। তবে এই দুটি ঘটনার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, যা কখনোই বিতর্কিত হওয়ার সুযোগ নেই। আজ অনেকে ২৪ কে ৭১ এর সঙ্গে তুলনা করা শুরু করেছেন। ২৪ আর ৭১ এক নয়। ১৯৭১ আমরা দেশ স্বাধীন করেছি একটা নতুন দেশের অভ্যুদয় হয়েছে। আর ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি সরকার পরিবর্তন হয়েছে। যে সরকার ছিল ফ্যাসিস্ট এবং জনবিরোধী। কাজেই দুটোর মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। ৭১ এর মাধ্যমে দেশ পেয়েছি, ২৪ এর মাধ্যমে নতুন সরকার পেয়েছি। যে সরকারটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ছাত্রজনতার রক্তস্রোতের মাধ্যমে। আমার বক্তব্য হলো, ৭১-কে বিতর্কিত করা যাবেনা, ২৪কেও অবহেলা করা যাবেনা, দু’টিকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে দেশের উন্নয়নে।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কখনো বিতর্কিত হতে পারে না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছেন, যা আমাদের গর্বের ইতিহাস। ২৫শে মার্চ কালরাত্রির নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে শুরু করে ১০ই নভেম্বর পাহাড়তলি গণহত্যা—সবই প্রমাণ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মমতা। ১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পায়োনিয়ার ফোর্স চট্টগ্রামের পাহাড়তলি অঞ্চলে এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। পাঞ্জাবি লেইন, বিহারী লেইন, ওয়ারলেস কলোনিসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে ছিল।

তিনি বলেন, ২৫ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে ভয়াবহ দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু বাংলাদেশেরই নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে গণহত্যা চালায়। বিশেষ করে ঢাকায় তারা নির্বিচারে নিরীহ বাঙালিদের হত্যা করে। জুলফিকার আলী ভুট্টো ও ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযান ছিল এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ। তবে চট্টগ্রাম ছিল ব্যতিক্রম। সারা দেশে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে হামলা চালালেও চট্টগ্রামে তারা সফলভাবে অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি। এর মূল কারণ ছিল চট্টগ্রাম থেকে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ। চট্টগ্রামে অবস্থানরত স্বাধীনতার স্বপক্ষের সেনারা পূর্ব থেকেই সশস্ত্র প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী চট্টগ্রামে সহজে আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি । মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা পরিকল্পিত প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং পাকিস্তানি বাহিনীকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট