মিসরের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গত ১৮ মার্চ ইফতার পার্টির আয়োজন করে দখলদার ইসরায়েলের দূতাবাস। ওই পার্টির একটি ছবি তারা তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেছে। তবে গাজায় বর্বরতা চালানোর মধ্যে মিসরে ইসরায়েলের দূতাবাসের ইফতার পার্টির আয়োজন সাধারণভাবে নেননি দেশটির সাধারণ মানুষ। তারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একটি টেবিলে সারি সারি বাটিতে খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যেখানে কাউকে বসে থাকতে দেখা যায়নি। সাধারণত মিসরের যেসব ব্যবসায়ী ও উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ইসরায়েলি দূতাবাসের ইফতার মাহফিলে অংশ নেন তারা ছবি প্রকাশ করতে চান না।
ইসরায়েলি দূতাবাসের করা পোস্টে একজন লিখেছেন, “যেসব সম্মানিত অতিথিরা আপনাদের ইফতারে অংশ নিয়েছেন, দয়া করে তাদের একটি তালিকা দিন।” আরেকজন লিখেছেন, “যারা এই ইফতার পার্টিতে অংশ নিচ্ছে তারা নিছক দেশদ্রোহী।” অপর একজন লিখেছেন, “এই ইহুদিবাদীরা কারা যারা এমন ইফতারে অংশ নিয়েছেন।”
আরব দেশগুলোর মধ্যে সবার আগে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে মিসর। তবে দেশটির সাধারণ মানুষ ইসরায়েল থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন। এমনকি সাধারণ মানুষ ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবেও স্বীকৃতি দেন না।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সীমান্তবর্তী দেশ হলো মিসর। গাজার মানুষ অন্য কোনো দেশে যেতে গেলে মিসরের বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। এছাড়া মিসর থেকেই গাজার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বড় একটি অংশ আসত। তবে দখলদার ইসরায়েল গাজা থেকে মিসরকে আপাতত বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।