ঢাকার ধামরাইয়ে মাটির ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে আবুল কাশেম (৫৭) নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দুপুরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবুল কাশেম ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকার মৃত রইজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। তিনি গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী শাহিদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী মানিকগঞ্জ যাওয়ার জন্য রওনা হন। বাড়ি থেকে বের হয়ে পাকা রাস্তায় ওঠামাত্র কয়েকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনলে আমার স্বামীকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে আমার স্বামী আবুল কাশেম মাটির ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু কোনো সমস্যা হয়নি। এখন কিছু বিএনপি নেতা ও আওয়ামী লীগের লোকজন ওই ব্যবসা নিয়ে বিরোধ করছিল। মৃত্যুর আগে আমার স্বামী জলিল, বাছের, বিল্টু ও বাবলুর নাম বলে গেছে। তারা আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেরাজুল রায়হান পাবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হতে পারে।
গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক মোজা বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।
ধামরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এছাড়া প্রাথমিকভাবে মাটির ব্যবসা নিয়ে আবুল কাশেমের সঙ্গে বিরোধ চলছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।