বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুরে এক হাজার শয্যার একটি আধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করবে চীন। চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে এই হাসপাতালটি উপহার হিসেবে দিচ্ছে দেশটি। হাসপাতালটি তিস্তা প্রকল্প এলাকার কাছে নির্মিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন তিনি।
আধুনিক সেবা দেবে নতুন হাসপাতাল
নূরজাহান বেগম বলেন, চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারা আমাদের একটি হাসপাতাল উপহার দিতে চায়, যা আমরা রংপুরে নির্মাণের পরিকল্পনা করছি। দ্রুত কাজ শুরুর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
রোবোটিক ফিজিওথেরাপি প্রযুক্তির আগমন
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও জানান, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রোবোটিক ফিজিওথেরাপি সুবিধাসম্পন্ন পুনর্বাসন সেন্টার স্থাপন করছে চীন। প্রাথমিকভাবে একটি সেট বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিজি হাসপাতাল) প্রতিস্থাপন করা হবে। ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম ও উত্তরবঙ্গেও এমন সুবিধা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণ-আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য আমরা চীনের সহায়তা চেয়েছিলাম। তারা আমাদের একটি রোবোটিক ফিজিওথেরাপি সাপোর্ট সেট দিয়েছে, যা ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল অব্যবহৃত, কারণ কী?
সংবাদ সম্মেলনে বিএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত থাকার কারণ জানতে চাইলে নূরজাহান বেগম বলেন, এই হাসপাতাল নির্মাণে অনেক টাকা খরচ হয়েছে, মূল্যবান যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে, যার একটি অংশ ইতোমধ্যে অকেজো হয়ে গেছে। কোরিয়ার সঙ্গে প্রশিক্ষণ ও পরিচালনার যে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে প্রশিক্ষিত জনবল না থাকায় হাসপাতালটি চালু করা যাচ্ছে না।
তিনি জানান, সরকার বর্তমানে ৫ হাজার চিকিৎসক এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। কোরিয়ার সঙ্গে নতুন করে চুক্তির মাধ্যমে হাসপাতালটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।