পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় জমিজমা ও বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আবু সালেহ (৩৭) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সোমবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পাতলাখালী গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আবুল বাশার (২৭) নামে আহত একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ আনওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আবু সালেহ উপজেলার পাতিলাখালী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। আহত আবুল বাশার রুবেল নিহত আবু সালেহের ছোট ভাই।
নিহত আবু সালেহের বোন আফসানা মিমি বলেন, রাত আড়াইটার দিকে আমার চাচাতে ভাই মো. শহিদুল ইসলাম সুমন, মো. রুম্মানসহ তাদের সাথে মো. নজরুল ইসলাম বাবুল চৌকিদার, মো. নান্না, মো. লিটন, মো. মিরাজ, মো. সবুজ, মো. মাসুম শরিফসহ অনুমানিক ১০-১৫ জন দলবদ্ধ হয়ে আবুল বাশার রুবেলের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবশে করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তার ডাক-চিৎকারে তার বড় ভাই আবু সালেহ, তার স্ত্রী মোসা. সোনালী আক্তার ঘর থেকে বের হয়ে রুবেলের ঘরের কাছে গেলে আবু সালেহকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় ফেলে রাখে।
নিহত আবু সালেহের স্ত্রী লাভলী আক্তার বলেন, আমরা ঘরে ঘুমে ছিলাম, রাতে আমার দেবর রুবেলের ডাক-চিৎকার শুনে আমার স্বামী আবু সালেহ ও আমি ঘর থেকে বের হয়ে তার ঘরে গিয়ে দেখি সুমন ও আরও কিছু লোক রুবেলকে কুপিয়ে ফেলে রেখেছে। আমারা যাওয়ার সাথে সাথে আমার স্বামী আবু সালেহকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আমার পায়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে আমাদের ঘরে ঢুকে সোকেজ ভেঙে সম্প্রতি সুপারি বিক্রির ১ লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। আমরা ৯৯৯ ফোন দিলে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবু সালেহ এবং আবুল বাশার রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পথিমধ্যে আবু সালেহ মারা যায়। মো. আবুল বাশার রুবেল গুরুতর অবস্থায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ আনওয়ার বলেন, জায়গা জমি ও বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় রেক্সোনা বেগম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।