বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলার জন্য দেশে ফিরে ভক্ত-সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হামজা চৌধুরী। সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামার পর তার মা, স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে হবিগঞ্জের উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করে বিকালে পৌঁছেছেন গ্রামের বাড়িতে। সেখানে পৌঁছে স্বজন ও ভক্তদের ফুলেল শুভেচছায় সিক্ত হয়েছেন হামজা চৌধুরী।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে তিনটায় হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে পৌঁছালে হাজার হাজার জনতা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
হামজার আগমণকে ঘিরে তার বাড়ি সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। বাড়ির প্রবেশপথসহ পথে পথে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। আলোকসজ্জ্বা করা হয়েছে পুরো বাড়িতে। বাড়ির পাশে খালি জায়গায় ছোট একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ছোট্ট পরিসরে তিনি আগত অতিথিদের সাথে কুশল বিনিময় করবেন বলেও জানা যায়।
হামজা চৌধুরীর চাচা দেওয়ান মাসুদ জানান, ২০১৪ সালে সর্বশেষ দেশে এসেছিলেন হামজা। ২০২২ সালে হামজার বিয়ে হয়। এরপর আর তার দেশে আসা হয়নি। তাদের আগমণ ঘিরে আমাদের পুরো জেলাজুড়ে মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
হামজা চৌধুরীর বাবা দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ বলেন,অনেকেই সংবর্ধনার আয়োজন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমি বারণ করেছি। রমজান মাসে অনেক লম্বা সফর করেছে পুরো পরিবার। তারপর আমি নিজে বাড়িতে ইফতারের ছোট্ট আয়োজন করেছি। যেহেতু দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন এসেছেন। তাই সবার সম্মানে এই আয়োজন। আজ রাত বাড়িতে থাকার পর আগামীকাল সবাই মিলে ঢাকায় চলে যাবো।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বছাই পর্বে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হবে হামজা চৌধুরীর।