“চাদ্দার” প্রথার মাধ্যমে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রদত্ত উত্তরাধিকারের অধিকার থেকে নারীদের বঞ্চিত করা হতো, অথবা তাদের
নারীদের সম্পদের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা “অনৈসলামিক” বলে রায় দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত। দেশটির শরিয়া আদালতের দেওয়া এই রায়কে যুগান্তকারী বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বুধবার যুগান্তকারী এক রায়ে ফেডারেল শরীয়ত আদালত (এফএসসি) ঘোষণা করেছে যে— পরিবারের কোনও মেয়ে সদস্যকে উত্তরাধিকারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা উপেক্ষা করা বা এমন সমস্ত বা যেকোনও প্রথার কোনও আইনি বৈধতা নেই।
প্রধান বিচারপতি ইকবাল হামিদুর রেহমান, বিচারপতি খাদিম হোসেন এম. শেখ এবং বিচারপতি আমির মোহাম্মদ খানের সমন্বয়ে গঠিত চার সদস্যের বেঞ্চের বিচারপতি ড. সৈয়দ মুহাম্মদ আনোয়ারের লিখিত ২১ পৃষ্ঠার এই রায়টি খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বান্নু জেলার কিছু অংশে প্রচলিত “চাদ্দার” বা “পারচি” প্রথার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে।
এই প্রথার মাধ্যমে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রদত্ত উত্তরাধিকারের অধিকার থেকে নারীদের বঞ্চিত করা হতো, অথবা জিরগার মাধ্যমে তাদের অধিকারের চেয়ে কম মূল্যের অংশ গ্রহণ করতে বাধ্য করা হতো।
শরীয়ত আদালত এই প্রথাকে ইসলামবিরোধী এবং অবৈধ ঘোষণা করেছে এবং এর কোনও আইনি ভিত্তি নেই বলেও উল্লেখ করেছে। আর তাই এই ধরনের কর্মকাণ্ড ফৌজদারি অপরাধ হতে পারে এবং এতে জড়িত থাকলে শাস্তি হতে পারে।
দ্য ডন বলছে, সৈয়দা ফৌজিয়া জালাল শাহ নামে এক নারী তার আবেদনে কেবল বান্নুতে প্রচলিত প্রথাগুলোই তুলে ধরেননি, বরং তার মা সৈয়দা ইফতিখার বিবির জন্যও আদেশ চেয়েছিলেন, যিনি স্থানীয় এই প্রথার কারণে তার বাবা এবং স্বামীর উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।