১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী, মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো বিচারব্যবস্থা চালুর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিচারব্যবস্থায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষী প্রদানের প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।
১৭ মে, বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকার গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার ৩৮তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এসব কথা জানান।
প্রধানমমন্ত্রী বলেন, ‘ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের ন্যায় বিচারব্যবস্থায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষী প্রদানের প্রয়োজন হয় না। ন্যুরেমবার্গের বিচারকরা কোনো সাক্ষী গ্রহণ করেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্তদের বিচারে এখনো এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। আমাদের দেশেও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে এই ব্যবস্থা আমরা চালু করতে পারি।’
মানবতাবিরোধী বিচারে সাক্ষী দেওয়ার ঘটনায় অনেকে হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে অনেক অভিযোগ পেয়েছি।’
এসব হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদেরও মানবতাবিরোধী অপরাধী বলে গণ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদেরকেও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ন্যায় বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। তাদেরকেও উপযুক্ত শাস্তি দেয়া প্রয়োজন।’
যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় দেওয়া সাক্ষীদের যথাযথ খেয়াল রাখার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদের বলেন, ‘আপনারা এটা নিশ্চিত করুন, যাতে কোনো সাক্ষী নির্যাতন ও হামলার শিকার না হন।’
ন্যুরেমবার্গ জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশের একটি শহর। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ওই বছরের ২০ নভেম্বর শহরটিতে বিশ্বযুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও গণহত্যায় অভিযুক্ত হিটলারের গেস্টাপো ও নাৎসি বাহিনীর নেতাদের বিচার করা হয়।