চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেট মোড়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দিয়েছেন তারা।
তারা বলছেন, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিলের দাবিতে তাদের আন্দোলন। যা সারাদেশেই চলছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুপুর ২টা নাগাদ তাদের আন্দোলন চলমান রয়েছে।
তাদের এ আন্দোলন ঘিরে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পুরো এলাকায় যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দিয়েছেন তারা। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ট্রেনটি অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ২টার দিকে দুই নম্বর গেট এলাকায় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ সংযোগ সড়ক, দুই নম্বর গেট হয়ে অক্সিজেন, জিইসি ও মুরাদপুর সড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। এসময় অনেককেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতো দেখা গেছে। আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি পুলিশও অবস্থান করছে ওই এলাকায়।
দুই নম্বর গেট রেলক্রসিং এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কক্সাবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবরোধ করে রেখেছেন অবরোধকারী। ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে উঠে দাঁড়িয়ে আছেন ২০-৩০ জন আন্দোলনকারী। তারা একটি ব্যানার টানিয়ে দিয়েছেন।
জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম নামে এক ট্রেনের যাত্রী বলেন, ‘এখানে ৩ ঘণ্টা ধরে আটকে আছি। রমজান মাসে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কোনো মানে হয় না। রোদের গরমে এমনিতে ট্রেনের অবস্থা খারাপ।’
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটির পরিচালক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘দুই নম্বর গেট এলাকায় শিক্ষার্থীরা ট্রেন অবরোধ করে রেখেছে। আমরা প্রায় তিন ঘণ্টা পর্যন্ত দুই নম্বর গেটে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা তাদের বুঝানোর চেষ্টা করছি।’
যানজটে পড়া জয়লান আবেদীন নামে এক অটোরিকশাচালক বলেন, দাবি রাস্তায় এসে কেন জানাতে জবে। দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে যাবে। এখন তাদের কারণে হাজার হাজার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।