রাজধানীর সবুজবাগ থানা এলাকায় ১১ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় চা দোকানি মোর্শেদ আলম শেখের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক গোলাম কবির আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেন আদালত। অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাজ্জাত হোসেন সবুজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি মোর্শেদ আলম শেখ (৫০) সবুজবাগ থানার দক্ষিণগাঁও এলাকায় চায়ের দোকান করতেন। একই এলাকায় মামলার বাদী ভুক্তভোগীর মা বসবাস করতেন। সেই সূত্রে আসামির সঙ্গে পরিচয় হয়। বাদীর বড় মেয়ে (১১) আসামিকে মামা বলে ডাকে এবং আসামি তার বাসায় একা থাকতেন। আসামি প্রায়ই ভুক্তভোগীকে ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করত। সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট আসামি ভুক্তভোগীকে ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক আজমিন নাহার কিরণ ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি মোর্শেদ আলমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আদালত আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন।