বায়ার্ন মিউনিখ জার্মানির ফুটবল ইতিহাসের সেরা ক্লাব। লিভারপুলকে বলা চলে তর্কসাপেক্ষে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাব। শতবছরের বেশি সময় যাদের পথচলা। দুই দলের সংগ্রহে আছে ৬টি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। আর সেই ক্লাবের সমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আছে রিয়াল মাদ্রিদের ৪ তারকার! রিয়ালের খেলোয়াড় হলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা হয়ত এতটাই সহজ।
র আগে ১৪বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ইউরোপের রাজত্ব বুঝে পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৫৬ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর থেকে টানা পাঁচ বার ট্রফি জিতেছিল তারা। আরও একটি জয় ১৯৬৬ সালে। ষষ্ঠ ট্রফি জেতার পরে ৩২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাদের।
কিন্তু গত ১০ বছরে ছয়বার ইউরোপের সেরা হয়েছে তারা। যার শেষটা এসেছে রোববার ২ জুনের প্রথম প্রহরে। আর সেই এক দশকের পথচলায় নিয়মিত মুখ হয়ে ইতিহাসের পাতায় গিয়েছেন রিয়ালের চার তারকা। দানি কার্ভাহাল, নাচো ফার্নান্দেজ, টনি ক্রুস এবং লুকা মদ্রিচ বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা খেলোয়াড়। খেলোয়াড় হিসেবে তারা জয় করেছেন ৬ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নাম হওয়ার পর আধুনিক ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশিবার ইউরোপ সেরা হয়েছিলেন রিয়ালেরই একঝাঁক তারকা। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা, গ্যারেথ বেল, মার্সেলো, ক্যাসেমিরোরা পেয়েছিলেন ৫ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
বিপরীতে টনি ক্রুস ক্যারিয়ারের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেন জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে। ২০১৩ সালে ইয়ুপ হেইঙ্কেসের সর্বজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তরুণ ক্রুস। বাকি ৫ শিরোপা এসেছে রিয়ালের সাদা জার্সিতে।
দলে থাকা এই চার তারকার মধ্যে টনি ক্রুসের এটাই শেষ বছর ফুটবলে। নাচো ফার্নান্দেজও চলতি মৌসুমে রিয়াল ছাড়তে পারেন। তবে দানি কার্ভাহালের সামনে সুযোগ থাকছে সংখ্যাটা বাড়িয়ে নেয়ার। তেমনি লুকাস ভাস্কেজও সুযোগ পাবেন ৬ চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী খেলোয়াড় হওয়ার।