আগামী অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে তামাকবিরোধী দুই সংগঠন।
সোমবার (২৪ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সভাকক্ষে ‘কেমন তামাক কর চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মূল প্রবন্ধের আলোচনায় বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রস্তাব অনুযায়ী তামাকপণ্যের বিদ্যমান কর ব্যবস্থা সংস্কার করলে সিগারেটের ব্যবহার ১৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশে আসবে। প্রায় ২৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবেন এবং প্রায় ১৭ লাখ তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে। দীর্ঘমেয়াদে ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫৮ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৭৯ তরুণ জনগোষ্ঠীর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। এছাড়া ৬৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রত্যাশিত রাজস্বের চেয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আয় হবে।
বক্তব্যে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) রিসার্চ ডিরেক্টর মাহফুজ কবীর বলেন, আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠীকে মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে তামাকের কর বাড়ানো দরকার। বর্তমানে তামাক পণ্যের যে কর কাঠামো সেটি বেশ জটিল। একটি সহজ কর কাঠামোর চিন্তা করতে হবে যে শুধু তামাকের দাম বাড়বে না বরং কার্যকরভাবে সেটির দাম বৃদ্ধি করা হবে। এটি এক ধরনের সংস্কারও বটে। এতে আমাদের দেশের এমডিজিরও একটি লক্ষ্য পূরণে কাজে আসবে।
ইকনোমিকস রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৌলত আক্তার মালা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে আসলে তামাকের কর কেমন সেসব বিবেচনা করে আমাদের দেশের তামাকের কর নির্ধারণ করতে হবে। শুধু তামাক পণ্যের দাম বৃদ্ধি করলে তামাক কোম্পানি লাভবান হবে কিন্তু জনসাধারণের কোনো উপকার হবে না। তাই দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সঙ্গে সমান্তরালে তামাকের কার্যকরী মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে।
সম্মেলনে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের (আত্মা) সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আত্মা সংগঠনের আহ্বায়ক লিটন হায়দার, প্রজ্ঞার হেড অব প্রোগ্রামস হাসান শাহরিয়ার প্রমুখ।