আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে বিভাগীয় নগরী রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
গতকাল রাতে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব চত্বর ফিরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না; আওয়ামী লীগের /হাসিনার/র এর দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান; ইন্টেরিম, সাবধান; উপদেষ্টার বক্তব্য, প্রত্যাহার করতে হবে; অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে, নিষিদ্ধ করতে হবে; আওয়ামী লীগের বিষদাঁত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে পতিত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন ছাত্রনেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, জুলাইয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ হাজারো মায়ের বুক খালি করেছে। ১৮ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। আর কত অপরাধ করলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে। বাংলাদেশের ভাগ্য রাজপথ থেকে নির্ধারিত হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক আলমগীর নয়ন বলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য যারা কাজ করছে তাদের রাজপথে রুখে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে এ দেশের ছাত্র-জনতা জুলাই বিপ্লবের মতো আরও একবার রাজপথে নামবে। জুলাই বিপ্লবকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ, সদস্য সচিব ডা. আশফাক আহমেদ জামিল, মহানগর কমিটির সদস্য সচিব রহমত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাওয়াকিল বিল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমরা তো জুলাইয়ে শহীদ হয়েছি, আমাদের কিসের ভয়? আমাদের দেহে যতক্ষণ পর্যন্ত রক্ত আছে ততক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। জুলাইয়ে যারা রক্ত দিয়ে দেশকে নতুন করে স্বাধীন করেছে তাদের লাল রক্ত দিয়েই আওয়ামী লীগকে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে৷ আমরা জীবন দেব কিন্তু জুলাইয়ের চেতনাকে পরাজিত হতে দেব না। আমরা শহীদদের সঙ্গে বেঈমানি করবো না। খুনি হাসিনার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। এসময় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনকারীদের রুখে দিতে দেশের সকল ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।