রাইড শেয়ারিংয়ের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে মোটরসাইকেল আত্মসাৎ করার ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-রমনা বিভাগ।
আটককৃতরা হলো- মোঃ নাইমুল হক রোহান, মোঃ ইয়াছিনুল হক রাফিন, মোঃ রিয়াজ ও সুজিত দাস। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ১০টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৬ মার্চ ২০২৩) রাজধানীর উত্তরখান ও টাঙ্গাইল জেলায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে গোয়েন্দা-রমনা বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ ২০২৩) সকালে ডিএমপির ডিবি কম্পাউন্ডে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ১ জুন ২০২২ তারিখে জনৈক খালিদ সাইফুল্লাহ বকসী অভিযুক্ত রোহান ও রাফিনকে ২টি মোটরসাইকেল দৈনিক ও সাপ্তাহিক ভাড়া প্রদান করে। অভিযুক্ত রোহান ও রাফিন মোটরসাইকেল ২টি আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে রমনা মডেল থানায় মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্ত করে গোয়েন্দা-রমনা বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। মামলা তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোহান ও রাফিনসহ এ ঘটনায় জড়িত রিয়াজকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের দেয়া তথ্য মতে টাঙ্গাইল জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত সুজিতকে আটক করা হয়। এসময় তার হেফাজত থেকে ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আটককৃতরা আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা রাইড শেয়ারিংয়ের কথা বলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে মফস্বল এলাকাসহ বিভিন্ন মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়কারীদের নিকট বিক্রয় করতো।
কেউ যদি চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয় করে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরখান থানায়ও মামলা রুজু হয়েছে। আটককৃতদের রিমান্ড আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে মর্মে জানান গোয়েন্দা এ কর্মকর্তা।
গোয়েন্দা রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর পিপিএম-সেবা এঁর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জুয়েল রানা পিপিএম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাবেদ ইকবাল এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলগুলো হলোঃ
১. Mahindra-2016 মোটরসাইকেল, যার রেজিষ্ট্রেশন নং-ঢাকা মেট্রো-হ -৩৪-৪৪১৬, ইঞ্জিন নং- USE GJ001291, চ্যাসিস নং- MCDKG1B14S1J05756
২. Mahindra-2014 মোটরসাইকেল, যার রেজিষ্ট্রেশন নং-ঢাকা মেট্রো-হ -৫১-১৭৭৩, ইঞ্জিন নং-UPE-EF033185, চ্যাসিস নং- MCDKG1B14EIF31908
৩. HERO HONDA মোটরসাইকেল, যার রেজিষ্ট্রেশন নং-ঢাকা মেট্রো হ-৪৫-৩২৬৫, ইঞ্জিন নং- HA10EFC9H00346, চ্যাসিস নং- MBLHA10EYC9H001
৪. HONDA XL মোটরসাইকেল, যার রেজিষ্ট্রেশন নং-নাটোর ল-১১-০০০৪, ইঞ্জিন নং- L185SE-5449042, চ্যাসিস নং- AHBXL185SP-0
৫. YAMAHA RX-S মোটরসাইকেল যার রেজিট্রেশন নং- ঢাকা মেট্রো হ-১৯-৩৫৬৯, ইঞ্জিন নং – 3FL-012705, চ্যাসিস নং- R10604055 MD624HC1362L19197
৬. HERO Delux মোটরসাইকেল, যার রেজিস্ট্রেশন নং- ঢাকা মেট্রো হ-৩৬-৩৭৫৬, ইঞ্জিন নং- HAIIEJJ9H01962, চ্যাসিস নং- PSIHAR266JJK00177
৭. YAMAHA মোটরসাইকেল, যার রেজিস্ট্রেশন নং- ঢাকা মেট্রো- হ-২৫-৬৬৫৫, ইঞ্জিন নং-5P42003518, চ্যাসিস নং- 5P42008
৮. RUNNER-150 মোটরসাইকেল, যার রেজিষ্ট্রেশন নং ঢাকা মেট্রো-ল ২০-০৩০৭, ইঞ্জিন নং-RB121YAV180201924, চ্যাসিস নং- BRBRAM180201484
৯. PALSER-150 মোটরসাইকেল, যার রেজিষ্ট্রেশন নং ঢাকা মেট্রো-ল -২১-১৫৯৮, ইঞ্জিন নং- DHGBUK63593, চ্যাসিস নং- MD20HDHZZUCK90381
১০. APACHE RTR 150 মোটরসাইকেল, যার রেজিষ্ট্রেশন নং ঢাকা মেট্রো- ৩৯-৮৪১৫,ইঞ্জিন নং- KCIA3065087, চ্যাসিস নং- MD624HC1362L19197