২৮ জুন, ২০১৮ইং

সন্তান জন্মের খবর এলেই পরিবারে আনন্দ বেড়ে যায়। সঙ্গে বেড়ে যায় হবু মায়ের আদর-যত্ন। এমনকি পরিবার ব্যস্ত হয়ে পড়ে অনাগত অতিথিকে আপ্যায়ন করতে। এই প্রস্তুতির মধ্যে বেশকিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি , যা না মানলে মায়ের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়। এর প্রভাব পড়ে শিশুর উপরও।
গরম পানিতে গোসল না করা: গরম পানিতে গোসল শরীরকে তাজা করে এমন ধারণা রয়েছে। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, গর্ভবতী মায়ের শরীরের অভ্যন্তরীণ উষ্ণতা ১০১-১০২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। খুব বেশি তাপে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। ফলে, শিশু বঞ্চিত হতে পারে তার দরকারি পুষ্টি ও অক্সিজেন থেকে।
ফলের রসে না বলুন: ফলের রসে ফাইবার কম অথচ শর্করা বেশি। চিনির আধিক্যও বেশি। তাই এটা এড়িয়ে চলুন। গ্যাস্টেশনাল ডায়াবিটিসকে দূরে রাখতে ফলের রসের বদলে নিত্য খাদ্যতালিকায় রাখুন টাটকা ফল।
চিত হয়ে না শোওয়া: বোশির ভাগ চিকিৎসকই এই সময় হবু মাকে বাঁ দিকে কাত হয়ে শোওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে ভ্রূণের শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে। চিত হয়ে শুলে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট, বদহজম বা নিম্ন রক্তচাপের কারণে গর্ভবতীর শরীরে আসতে পারে নানা জটিলতা। যার প্রভাবে ক্ষতি হতে পারে হবু মা-সহ সন্তানেরও।
প্রসাধনীতে সাবধান: কিছু প্রসাধনের মধ্যে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, বেঞ্জিল পারঅক্সাইড এই সময় অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই সাবান-শ্যাম্পু থেকে শুরু করে প্রসাধনীর জিনিস- কেনার আগে খুঁটিয়ে দেখুন এসবের উপাদান। প্রয়োজনে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
জাঙ্ক ফুড নয়: চিকিৎসকরা নিষেধাজ্ঞার শুরুতেই রাখেন এই বিষয়টা। হজম, রক্তচাপ, ওবেসিটি সব নিয়ন্ত্রণ করতেই এই দাওয়াই। মসলাদার খাবার বা জাঙ্ক ফুড এমনিতেই শরীরের ক্ষতি করে। গর্ভাবস্থায় হতে হবে আরো সচেতন।
রং থেকে দূরে থাকুন: অনাগত শিশুর জন্য অনেকে ঘর তৈরি করে রাখেন। রঙের মধ্যে থাকা নানা জৈব রাসায়নিক ও তার গন্ধ গর্ভবতীর শরীরের জন্য ভালো নয়। একান্তই রং করাতে হলে হবু মাকে সে ঘর থেকে রাখুন অনেকটাই দূরে।