আমাদের ঘুম, শারীরিক কার্যকলাপ, মানসিক চাপের মাত্রা, ডায়েট ইত্যাদির ওপরে নির্ভর করে সারাদিন আমরা কতটা শক্তিশালী থাকবো। খাবার খেলেই যে তা থেকে সবাই একইরকম শক্তি পাবেন, এমন নয়। কারণ খাবার খেলেই হবে না, আছে কিছু নিয়মও। সঠিকভাবে খেলেই মিলবে আরও বেশি শক্তি।
বেশি শক্তি পেতে বেশি করে খাবার খাওয়ার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্থির রাখার দিকে মনোযোগী হতে হবে। ফরাসি বায়োকেমিস্ট জেসি ইনচাউসপে তার সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উল্লেখ করেছেন, গ্লুকোজ হলো শরীরের শক্তির প্রিয় উৎস। কিন্তু, বেশি গ্লুকোজ ভালো নয়। আপনি যদি শরীরকে খুব বেশি গ্লুকোজ দেন (যদি আপনি খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট এবং শর্করা খান), তবে বেশি শক্তি পাবেন না, পাবেন অল্প।
শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে মাইটোকন্ড্রিয়া চাপে পড়ে। এর ফলে দীর্ঘস্থায়ীভাবে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। বোধ করেন। আমরা যখন চিনি খাই, তখন ডোপামিনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এর ফলে আমরা তাকে শক্তি ভেবে ভুল করি। ভেতর থেকে নতুন শক্তি বাড়াতে সাহায্য করার জন্য গ্লুকোজের মাত্রা স্থির রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১. সুস্বাদু সকালের খাবার
রুটি-জ্যাম বা সিরিয়ালের মতো মিষ্টি ব্রেকফাস্টের পরিবর্তে দই, ডিম, বাদাম, মটরশুটি এবং অ্যাভোকাডোর মতো সুস্বাদু ব্রেকফাস্ট খান। এতে আপনার দিনের শুরুটা সুন্দর হবে। সারাদিনে খুব একটা ক্লান্ত বোধ করবেন না। খাবার থেকে বাড়তি শক্তি পেতে তাই এদিকে খেয়াল রাখুন।
২. প্রথমে সবজি খান
আপনার খাবারের শুরুতে সবজির পদগুলো খান। শাক-সবজির ফাইবার আপনার প্রধান খাবার থেকে হঠাৎ গ্লুকোজ স্পাইক প্রতিরোধ করবে। তাই খাবারের শুরুতেই মাংস বা এ ধরনের ভারী খাবার না খেয়ে শাক-সবজি দিয়ে শুরু করুন।
৩. ভিনেগার ড্রেসিং
খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ বা আপনার ভেজিটেবল স্টার্টারে সামান্য মিশিয়ে নিন। ভিনেগারে অ্যাসিটিক অ্যাসিড রয়েছে যা এনজাইমকে ধীর করে দেয়, যা কিনা খাবারকে গ্লুকোজে রূপান্তর করে।