বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে সড়ক দুর্ঘটনা (রোডক্র্যাশ) পাঁচ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। প্রতিবছর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এটি উদ্বেগজনক সমস্যা হিসেবে সামনে চলে এসেছে। তাই একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইনের দাবি জানিয়েছে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং।
মাদকের অপব্যবহার ও পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শ্যামলিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহযোগিতায় আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের আয়োজনে স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত তরুণদের দাবি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানায় তরুণরা।
সভায় আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা মূল প্রবন্ধে বলেন, মদপান বা মাদক গ্রহণ করে গাড়ি চালালে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। অ্যালকোহল ও স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর প্রতি ২০টি মৃত্যুর ঘটনার প্রায় একটির জন্য দায়ী অ্যালকোহল। এসব মৃত্যুর ঘটনার পেছনে রয়েছে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো।
তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার অনুসারে, বাংলাদেশে ২০২৩ সালে ডোপ/ড্রাগ টেস্টের ‘পজিটিভ’ হার সর্বোচ্চ দেখা গেছে। অর্থাৎ ২০২২ সালে যেটি ছিল ১.৫% ২০২৩ সালে সেটি বেড়ে ৮% এ পৌঁছায়।
সভায় আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সদস্য পারিশা মেহেশারিন এশার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান।
সভায় তরুণদের পক্ষে দাবি তুলে ধরে ইয়ুথ ফোরামের সদস্য মো. তাসনিম হাসান আবির বলেন, সড়কের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ করে জাতিসংঘের সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের আলোকে একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন, আইন প্রণয়নের বিভিন্ন ধাপে তরুণদের অংশগ্রহণ, তরুণদের সুপারিশসমূহ সংসদে উত্থাপনের ব্যবস্থা রাখাসহ আইন বাস্তবায়ন ও এর পর্যবেক্ষণে তরুণদের অংশগ্রহণ সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।