1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
মাত্র ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করলো শিশু হাবিব - NEWSTVBANGLA
সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঢাকায় রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে জুলাই বিপ্লব নতুনভাবে দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা যাবে না : চসিক মেয়র ‘হঠাৎ বিকট শব্দ, দৌড়ে গিয়ে দেখি বাড়ির ভেতরে আগুন আর কান্নাকাটি’ পরিবেশ দূষণমুক্ত চাইলে দূষণকারী শিল্পকারখানা বন্ধ করার আহ্বান না ফেরার দেশে নয়া দিগন্তের সাবেক সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন মাহিন সরকারের বিরুদ্ধে ৭.৫ কোটি টাকার ভুয়া গল্প, আসলেই কি ঘটেছে বেলকুচিতে রাতের মধ্যে যেসব এলাকায় ঝড় হতে পারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা মামায় জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ললিপপ জনি কেরানীগঞ্জে এসি বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন হাসপাতালে

মাত্র ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করলো শিশু হাবিব

প্রতিনিধি

পাঁচ পৃষ্ঠা থেকে সবক দেওয়া শুরু। এরপর কখনো ১০ পৃষ্ঠা আবার কখনো ১৫ পৃষ্ঠা। এভাবে সবক দিয়ে মাত্র ৪৯ দিনে পুরো কোরআন হিফজ করল নোয়াখালীর বিস্ময় শিশু হাবিবুর রহমান (৮)।

বিস্ময়কর ও প্রখর মেধাবী হাবিব নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সে সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের বালিয়াকান্দী গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাইনুদ্দিন রাসেলের ছেলে।

জানা গেছে, শিশু হাবিব ২০২২ সালে এক বছর নুরানী পদ্ধতিতে পড়ার পর ২০২৩ সালের মাঝামাঝি বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসায় ভর্তি হয়ে নাজেরা (কোরআন দেখে পড়া) পড়ে। এরপর ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ১৯ তারিখে কোরআন শরিফ হেফজ (মুখস্থ) শুরু করে। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৪৯ দিনে পুরো কোরআন মুখস্ত করে সে। এমন বিরল কৃতিত্ব অর্জনে তার শিক্ষক ও পরিবারের লোকরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।

শিশু হাফেজ হাবিবুর রহমান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার শিক্ষকরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথমে পাঁচ পৃষ্ঠা, তারপর ১০পৃষ্ঠা ও ১৫ পৃষ্ঠা করে সবক দিতাম। আমি বড় হয়ে একজন বড় আলেম হতে চাই। আমার জন্য দোয়া করবেন।

হাবিবুর রহমানের শিক্ষক হাফেজ মো. নুরুল আলম বলেন, সে পড়াশোনায় খুব আগ্রহী ছিল। সে যেদিন হাফেজ হয়েছে সেদিন বিকেলেও যথা সময়ে পড়তে বসে গেছে। আল্লাহ তায়ালা তাকে বড় আলেম হিসেবে কবুল করুন।

হাবিবুর রহমানের মা সাজেদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে আমি মাদরাসার উপরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি। হাবিবুর রহমানকে আমি সারাদিনও দেখতে পেতাম না। বিকেলে সবাই যখন খেলাধুলা করতো তখনও হাবিব পিলারের এক কোনায় গিয়ে কোরআন মুখস্ত করতো৷ আমার বড় ছেলে আব্দুর রহমানও একই দিন হাফেজ হয়েছে । আল্লাহ তাদের মনের আশা পূরণ করুন এবং আল্লাহ দ্বীনের জন্য কবুল করুন।

বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ কারি শাহাদাত হোসাইন বলেন, হাবিবুর রহমান একজন বিস্ময়কর বালক। আল্লাহপাক তাকে কবুল করছেন বলেই মাত্র ৪৯ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে পেরেছে। আমরা তার সফলতা কামনা করি। তবে এতো অল্প সময়ে কোরআন মুখস্থ করার বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। এটি আমাদের জন্য গর্বের। দোয়া করি আল্লাহ এই শিশুকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন।

বেগমগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে সত্যিই অবাক হয়েছি। হাবিবুর রহমান আসলেই বিস্ময় বালক। আমি তার জন্য দোয়া করি এবং তার সফলতা কামনা করি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট