পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই : বিআরইবি
অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবিতে সারা দেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তবে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) জানিয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এই আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একটি সংবিধিবদ্ধ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও এর আওতাধীন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহককে বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, জুলাই অভ্যুত্থানের পরপরই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে গত বছরের ১৭ অক্টোবর সারা দেশে ব্ল্যাক আউট করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দেশকে অকার্যকর করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করে, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
এ পরিস্থিতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় দুষ্কৃতকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং তাদের এই দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডের জন্য সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরও তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং সম্প্রতি তারা অনৈতিকভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে ২১ মে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি করে, যার মাধ্যমে জনমনে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বার্তায় আরও জানানো হয়, প্রকৃতপক্ষে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর এই নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সঙ্গে কোনো রূপ সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সব গ্রাহকসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণকে তাদের এই বিশৃঙ্খল কার্যকলাপ সম্পর্কে সচেতন থাকা ও বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।