শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে এডভোকেট খুরশীদ আলম খান এ আবেদন দায়ের করেছেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে। আদালতের অনুমতি ছাড়া ড. ইউনূস যেন বিদেশ যেতে না পারেন, সে আবেদনও করা হয়েছে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দন্ডিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে গত ২৮ জানুয়ারি জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। সেদিন শ্রম আদালতের দেয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ- ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে দশ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- ও ৩০৭ ধারার অপরাধে পঁচিশ হাজার টাকা অর্থদ- ও অনাদায়ে অতিরিক্ত পনেরো দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়।
তবে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের রায়ের পরপরই ১ মাসের জামিন দেয়া হয়।