গফরগাঁও যাবেন সাজেদা বেগম। স্টেশনের কাউন্টারে কাউন্টারে ঘুরছেন টিকিটের জন্য। কিন্তু সিটসহ টিকিট তো নাইই, দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিটটি পর্যন্ত কাউন্টারে নাই। পরে বাধ্য হয়ে তিনি জরিমানাসহ গফরগাঁও একটি টিকিট সংগ্রহ করেন।
সাজেদা বেগম বলেন, কাউন্টারে গেলাম বলল কোনো টিকিট নাই। একটা স্ট্যান্ডিং টিকিট চাইলাম সেটিও দিল না। পরে গেটে টিটিই’র কাছ থেকে তিস্তা ঈদ স্পেশাল ট্রেনের একটা টিকিট নিয়েছি, ৫০ টাকা অতিরিক্ত জরিমানা রেখেছে।
শুধু সাজেদা বেগম নয়, বুধবার (৪ জুন) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার দেখা যায় অসংখ্য মানুষ স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু বেশিরভাগই ফিরছেন খালি হাতে। আসনসহ টিকিট তো নাই, স্ট্যান্ডিং টিকিটটি পর্যন্ত পাচ্ছেন না তারা। ফলে বাধ্য হচ্ছেন জরিমানাসহ গন্তব্যের টিকিট সংগ্রহ করে ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী হতে।
জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী রহমান বলেন, টিকিট তো ১০ দিন আগেই ছেড়েছে কিন্তু সেগুলো আমরা পাইনি। সবাইতো টিকিট পায় না। ঈদ তো আর দুইদিন পরেই, বাড়িতে যেতে হবে। স্টেশনে এসে স্ট্যান্ডিং টিকিটের খোঁজ করলাম কিন্তু পাচ্ছি না। কিন্তু গেটে দেখলাম জরিমানা নিয়ে টিকিট দিচ্ছে টিটিইরা।
এদিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের প্রবেশ মুখে একাধিক চেকিং ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে। সেখানে একাধিক টিটিইরা দায়িত্ব পালন করছেন। রয়েছেন রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। প্রতিটি যাত্রীকে কড়া টিকিট চেকিং এর মধ্য দিয়ে প্ল্যাটফর্মের প্রবেশ করতে হচ্ছে। ফলে এখন পর্যন্ত টিকিটবিহীন যাত্রীদের আনাগোনা তেমন একটা দেখা যায়নি। যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ের আগে এসে অপেক্ষা করছেন ট্রেনের জন্য। এখন পর্যন্ত লম্ব বিলম্বে শিকার হয়নি কোনো ট্রেন। কম বেশি দশ/বিশ মিনিট বিলম্বে ট্রেনগুলো ঢাকা স্টেশন ছাড়ছে।