অনেকটা বাকহীনই বলা চলে কবিকে। তবুও জন্মদিনে পাঠকভক্তদের নানা আয়োজন তাকে ঘিরে।
নিজের বাসায় ৮৩তম জন্মদিনের ঘরোয়া আয়োজনে তাকে পরানো হয়েছিল রঙিন একটা পাঞ্জাবি। অসুস্থ শরীরে সোফায় বসে জন্মদিনের কেক কাটেন।
অনুভূতি প্রকাশ করতে বললে বেশ অনেক সময় নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টভাবে দুটো শব্দ উচ্চারণ করলেন- ‘সবাইকে শুভেচ্ছা’।
বুধবার বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে অংশ নিয়ে তার শুভানুধ্যায়ীরা কবিকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ১১ জুলাই কবি আল মাহমুদের জন্মদিনকে বাংলা কবিতা দিবস ঘোষণারও দাবি জানান।
সকাল থেকেই কবি আল মাহমুদের মগবাজারের বাসভবনে হাজির হয়েছিলেন তার গুণগ্রাহীরা। আল মাহমুদ ফাউন্ডেশন ও ফেসবুক ফ্যানপেজ প্রিয় আল মাহমুদের যৌথ আয়োজনে এ জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সাঈদ চৌধুরী রচিত আল মাহমুদের সাক্ষাৎকারভিত্তিক গ্রন্থ ‘কালজয়ী কবিতার স্রষ্টা আল মাহমুদ’ মোড়ক উন্মোচিত হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আল মাহমুদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আবিদ আজম। আল মাহমুদকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন- কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, জাকির আবু জাফর, শাহীন রেজা, সাহিত্যিক সাঈদ চৌধুরী, আর জে জহিরুল ইসলাম টুটুল, বাচিকশিল্পী মাহবুব মুকুল, কবি সাকিরা পারভীন প্রমুখ।
তারা বলেন, আল মাহমুদের সাহিত্যকর্মকে সারা বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে হবে। একজন ভাষাসংগ্রামী ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আল মাহমুদকে স্বাধীনতা পুরস্কার এবং তার জন্মদিনকে (১১ জুলাই) ‘বাংলা কবিতা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়ার দাবি জানানো হয়।
ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়- স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি সাহিত্য ফোরাম, বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমি, রেডিও টুডে, সাহিত্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, প্রাইম ভিশন অনলাইন টেলিভিশন, নবধারা, কবি এবং কবিতা, ফুলকুঁড়িসহ বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
আয়োজনে জানানো হয়, কবি আল মাহমুদের জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য থেকে অচিরেই বের হতে যাচ্ছে ১৪ খণ্ডে আল মাহমুদ রচনাবলী।