আব্দুল্লাহ আল নোমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাভার (ঢাকা): ঢাকার আশুলিয়ায় এক পোশাক শ্রমিককে আটকে রেখে মারধর করে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী। শনিবার (১১ই ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানা উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আফজালুল হক। এর আগে, একইদিন সকালে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আশুলিয়ার ভাদাইল তালতলা এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে রকি আহমেদ (১৯) ও জামগড়া বটতলা এলাকার ইমারত হোসেনের ছেলে ইয়ার হোসেন (১৯)। এ ঘটনায় পলাতক আরেক আসামি হল গাজিরচট এলাকার মো বুলেটের ছেলে মঈনুল ইসলাম হৃদয় (২২)।
ভুক্তভোগী জাহিদ ওরফে জসিম (২৩) লালমনিরহাটের খোরাগাছ এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি জামগড়া বটতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় স্টারলিং স্টাইল গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় আয়রন ম্যান হিসেবে চাকরি করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার জামগড়ার রূপায়ন মাঠ এলাকায় এক পরিচিতের সঙ্গে দেখা করতে যায় ভুক্তভোগী জাহিদ। এসময় অভিযুক্তরা কথা বলার জন্য তাকে পাশের নির্জনস্থানে নিয়ে যায় এবং হঠাৎ মারধর শুরু করে তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। সঙ্গে টাকা না থাকায় ভুক্তভোগী জাহিদকে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে আটকে রেখে তার বাবাকে ফোন করে বিশ হাজার টাকা দাবি করে। পরে শনিবার সকালে মুক্তিপণের বিনিময়ে ভুক্তভোগী জাহিদকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। এসময় মুক্তিপণের টাকাসহ পুলিশের ফাঁদে ধরা পরে ওই দুই অপহরণকারী।
পুলিশ জানায়, অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে তাদের ধরতে ফাঁদ পাতে পুলিশ। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীর ফুফাতো ভাই অপহরণকারীদের সঙ্গে দেখা করে। এসময় সাদা পোশাকে অপেক্ষারত আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল অপহরণকারীদের দুই সদস্যকে আটক করে এবং তাদের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দেয়ার জন্য অপরসহযোগীকে ফোনে জানায়।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আফজালুল হক জানান, অপহরন চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা এবং ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামিরা নেশাগ্রস্থ এবং প্রায়ই তারা এ ধরনের অপকর্ম করে আসছিল বলেও জানান তিনি।