বিপদ-আপদ জীবনের অংশ। যেকোনো সময় যেকেউ, যেকোনো ধরনের বিপদে পড়তে পারেন। কেউ কোনো বিপদে পড়লে অন্যদের উচিত বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করা এবং তার পাশে দাঁড়ানো।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ ও ইমানদার নারী একে অপরের সহায়ক।’ (সূরা তওবা, আয়াত : ৭১)।
হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন, যে তার বান্দাদের প্রতি দয়া করে।’ (বুখারি, হাদিস, ১৭৩২)।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অপরের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (মুসলিম, হাদিস, ২৫৬৬)।
কোরআনে আয়াত এবং এই হাদিস স্পষ্টভাবে অন্যের বিপদে সহায়তার প্রতি উৎসাহিত করে। কেউ কখনো বিপদে পড়লে তা দেখে খুশি হওয়া উচিত নয়। এতে আল্লাহ তায়ালা নিজেইকে বিপদে ফেলতে পারেন। এ বিষয়ে এক হাদিসে ওয়াসিলাহ ইবনুল আসক্বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—
তোমার ভাইয়ের বিপদে আনন্দিত হয়ো না। কেননা এতে আল্লাহ তার প্রতি করুণা করবেন এবং ওই তোমাকে বিপদে নিমজ্জিত করবেন। (সুনানে তিরমিজী, হাদিস : ২৫০৬)
অপর হাদিসে প্রিয় নবীজি (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের ক্ষতিসাধন করে অথবা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সে অভিশপ্ত। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪১)
মহানবী (সা.) আরও বলেছেন, কেউ অন্যের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতিসাধন করবেন। কেউ অযৌক্তিকভাবে কারো বিরোধিতা করলে আল্লাহ তার বিরোধী হবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৩৫)