সাভারে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী এখন একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সিসিওতে লাইভ সাপোর্টে রয়েছেন। তিনি এখন জীবন মৃত্যুর মাঝামাঝি বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ সাভারের পৌরএলাকার জামসিং মহল্লার স্বর্ণ ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বিকেল চারটার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় আসার উদ্দেশ্যে জামসিং জয় পাড়া বাবুর চা দোকানে বসেছিলেন।
এ সময় স্থানীয় মজিবর রহমানের ছেলে মেহেদী, লাল মিয়ার ছেলে রুবেল, আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল মান্নান, শওকতের ছেলে রমেজ, আব্দুল মজিদের ছেলে আব্বাস, মনির হোসেনের ছেলে কবির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন ওই চা দোকানে প্রবেশ করে সালামকে লোহার রড দিয়ে বেধরক পেটায়। এ সময় রুবেল ও রমেজ তাদের হাতে থাকা সুইচ গিয়ার নামক চাকু দিয়ে সালামকে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করে। অতর্কিত এ হামলায় আশে-পাশের লোকজন আতংকিত হয়ে পরে।
এজাহারে প্রকাশ, আব্দুস সালামকে কুপিয়ে আহত করার পর তার কাছে থাকা দুই লক্ষ টাকা ও দুইটি স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
লোকজনের চিৎকার শুনে আব্দুস সালামের স্ত্রী আলেয়া বেগম স্বামীকে বাঁচাতে এলে তার উপরও হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আলেয়ার গলার স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয় তারা।
আহত অবস্থায় আব্দুস সালামকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করে। সালামের শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তাঁকে আইসিও এবং পরে সিসিওতে লাইভ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
আব্দুস সালামের মেয়ে সালমা আক্তার জানান, আমার বাবা এখন জীবন মৃত্যুর মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছে। এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি। বাবার জন্য প্রতিনিয়ত হাসপাতালে আমাদের চোখের পানি ঝড়ছে। তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন এটাই কামনা করি।
আলেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে যারা মেরেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এখনও অভিযুক্তরা অনেকেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে আহবান করছি তাদের আইনের আওতায় আনার। কারণ, এখনও সন্ত্রাসীরা আমাদের মামলা তুলে নিতে হুমকী দিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে আলেয়া বেগম ১৭ মার্চ সাভার মডেল থানায় একটি মামলা রজু করেছেন।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া জানান,অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে। এ পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যরা পলাতক রয়েছে। তাদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।