সাধারণত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) বাইরে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তবে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ভিনদেশি লিগেও মালিকানা কিংবা শেয়ার কিনে নিচ্ছে। তেমনই একটি টুর্নামেন্ট ইংল্যান্ডের ‘দ্য হান্ড্রেড’। এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের ৫ নারীসহ মোট ৫০ ক্রিকেটার ড্রাফটে নাম দিয়েছিলেন। আগের আসরগুলোয় বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার খেললেও এবার তাদের কেউ দল পাননি।
মেয়েদের হান্ড্রেডে পাকিস্তান জাতীয় দলের পাঁচজন ক্রিকেটার নাম দিয়েছিলেন। তবে আলিয়া রিয়াজ, ফাতিমা সানা, ইয়ুসরা আমির, ইরাম জাভেদ এবং জাওয়ারিয়া রউফদের কেউই বিক্রি হননি। এমনকি পুরুষ ক্রিকেটার ৪৫ জনের মধ্যে কারও দল না পাওয়াকেও আশ্চর্য্যের বলে উল্লেখ করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো। ড্রাফটে সর্বোচ্চ দামি (১.২০ লাখ ইউরো) ক্রিকেটার ছিলেন পেসার নাসিম শাহ। এ ছাড়া অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম ও ওপেনার সাইম আইয়ুবের দাম ছিল ৭৮৫০০ ইউরো। সেদিক থেকে এরপরই ছিলেন শাদাব খান, হাসান আলিরা।
এবার কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারই দল না পাওয়ার পেছনে ভারতীয় আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দায় দেখছে সংবাদমাধ্যম। জিও নিউজের মতে, এবার ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বিদেশি যেকোনো বিনিয়োগের অনুমোদন দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। ফলস্বরূপ হান্ড্রেডের আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই নতুন করে বিনিয়োগ পায়। এর মধ্যে চার দলের বিনিয়োগ আসে আইপিএলের চার মালিকের কাছ থেকে। আর আইপিএলের সঙ্গে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বৈরি সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়।
কেবল ২০০৮ আসরেই আইপিএলে ছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ। এরপর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সম্পর্ক ক্রমেই শীতল হয়েছে। তবে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের হান্ড্রেডে দল না পাওয়ার পেছনে কেবল আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিই নয়, আরও একটি কারণ উল্লেখ করেছে জিও নিউজ। তাদের মতে, দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্ট চলবে আগামী ৫-৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ের পুরোটাতেই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে নিশ্চয়তা না পাওয়ায় মূলত ইংলিশ টুর্নামেন্টটির এই বিরূপ আচরণ!
উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। একই সময়ে হান্ড্রেডের উইন্ডোও ঠিক থাকায় সেখানে পাক ক্রিকেটারদের পুরো সময়ের জন্য এনওসি পাওয়া কঠিনই বটে। এ ছাড়া জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষেও রঙিন পোশাকে সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাবর-রিজওয়ানদের।
ইংল্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সুযোগ প্রসঙ্গে আগেই কথা বলেছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড। গত মাসেই তিনি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কোনো পাক ক্রিকেটারকে হান্ড্রেডে সুযোগ পাওয়ার পথে বাধা হবে না বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অন্য অঞ্চলে চ্যালেঞ্জে পড়ার বিষয়টি অবগত। কিন্তু তেমন কিছু এখানে (ইংলিশ টুর্নামেন্টে) হবে না।’