রমজান মাসের ফরজ রোজা ছাড়াও পুরো বছর বিভিন্ন ধরনের নফল রোজা রয়েছে। শবে বরাত, শাওয়ালের ৬ রোজা, আরাফার রোজা, মুহাররম মাসে আশুরার রোজা। এই রোজা ছাড়াও প্রতি মাসের আইয়ামে বিজ এবং সোম-বৃহস্পতিবারের রোজা রয়েছে। এই দিনগুলোতে রোজা রাখার ভিন্ন ভিন্ন ফজিলত রয়েছে।
কেউ চাইলে এক দিন পর পর নফল রোজা রাখতে পারেন। এটি হজরত দাউদ আ.-এর সুন্নত আমল। যারা বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে পছন্দ করেন, রাসূল সা. তাদের এইভাবে রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন।
নফল রোজা রাখার ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, তাহলে শুধু শনিবার নফল রোজা রাখা যাবে না। হাদিসে এ বিষয়ে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী শুধু শনিবার রোজা রাখা মাকরূহ। রাসূল (সা.) শুধু শনিবার রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَا تَصُومُوا يَوْمَ السَّبْتِ إِلَّا فِي مَا افْتُرِضَ عَلَيْكُمْ، وَإِنْ لَمْ يَجِدْ أَحَدُكُمْ إِلَّا لِحَاءَ عِنَبَةٍ، أَوْ عُودَ شَجَرَةٍ فَلْيَمْضَغْهُ
‘তোমরা শুধু শনিবারে রোজা রেখো না। তবে ওই দিন তোমাদের ওপর ফরযকৃত সওম রাখতে পারো। তোমাদের কেউ যদি সওম ভঙ্গের জন্য আঙ্গুর গাছের ছাল বা অন্য গাছের ডালা ছাড়া কিছু না পায়, তাহলে তা চিবিয়ে সওম ভঙ্গ করবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৪২১)
শনিবার ইহুদি সম্প্রদায়ের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু শনিবার রোজা রাখলে শনিবারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ কারণেই মূলত রাসূল (সা.) নিষেধ করেছেন। এক্ষেত্রে কেউ যদি শুধু শনিবার রোজা রাখতে চায় তাহলে একদিন আগে বা পরের সাথে মিলিয়ে দু’টি রোজা রাখবে।