ঝিনাইদহে ফাতেমা নামের এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অপর এক নারী। শুক্রবার (২৪ মে) ভোর রাতে সদর উপজেলার খালকুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরে অভিযুক্ত ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, খালকুলা গ্রামের অবেদ আলী ও তার ছেলে মেহেদী বিদেশে থাকেন। তার বাড়িতে স্ত্রী ও বৌমা থাকে। এ সুযোগে গত রাতে দু’জন ডাকাত বাড়ির ওয়াল ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। পরে অবেদ আলীর স্ত্রী ফাতেমাকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর তার ছেলের স্ত্রীর গলায়ও ছুরিকাঘাত করে কিছু নগদ টাকা নিয়ে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। পরে ছেলের স্ত্রী বিথী খাতুন পাশের বাড়িতে গিয়ে পড়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা জানতে পেরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। আহত বিথীকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর নিজে ‘আত্মহত্যা’ করতে চেয়েছেন আলী
আটকৃতরা হলো- দুর্গারপুর গ্রামের বাদল মন্ডলের ছেলে সাগর হোসেন ও পশ্চিম ঝিনাইদহের ফেলু সরকারের ছেলে সুশান্ত। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ডাকাতিকালে এ ঘটনা ঘটেছে।